কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
নিভৃত
কথামালা
যে কোনো মিলনাত্মক গল্পের মত
এইদিন, এরপর
সুবাতাস বয়ে গেছে
বহুদূর!
তুমি
বলেছিলে - -
তেমন কোন
লোভনীয়
অভিধা খোঁজোনি
ওই মুখ
তবুও
টান টান
রেখেছে পারাপার।
বাসনার
নিভৃত কথামালা,
সুগন্ধি
আলো আর পরাবাস্তব আবহে
অভিজ্ঞান
রেখেছি।
অনীহার
খুচরো সোনাঝুরি উচ্চারণ, শব্দ
অন্ধকারের
ভিতর থমকে আছে
এসো, তাদের
শব্দহীন প্রার্থনায় ডাকি
সেই পুরনো
সুর ছুঁয়ে
তুমি
বেঁচে উঠো
আমিও
একটুখানি বাঁচি।
স্বপ্ন
জরাগ্রস্থ
সময় দিকভ্রান্ত যাবতীয় সমবায়
অসম
বাতাবরণ,
ভেঙে ভেঙে
যখন
আমিতে শেষ
হয়ে গেছে আর সব-
পাক্ষিকে
গল্পটা এলো-
অড আর
এভেন সংখ্যার লাইন আলাদা
প্রতিবেশি
ছায়া ঘেরা আত্মার কাছে
নিরাময়
শ্বাসের নিম গাছ,
পূর্বপুরুষ, দেউরিতে
ব্রততি ও কুসুম,
দুপুরের
মুসাফির,
গরম সাদা
ভাতে বেগুন আর শুকনো লঙ্কা ভাজা
জলচৌকির
বিশ্রাম
ভুলে
যাওয়া শান্তির মত আয়াশে
আর কিছু
কি চাই?
এবার আহা
তুমুল বেঁচে থাকি আর
ধুন্ধমার
উল্লাসে মরে যাই।
হিম ডাকঘরে প্রীতি ও রোদ্দুর
উত্তর
বিষুববৃত্ত কেমন আছো?
এই মর্মে
বর্ণমালায় সাজে শব্দের ছবি।
তোমাদের
শহরের অলি গলি ছুঁয়ে চলে যায়
উষ্ণ
ঘরানার হাওয়া,
নির্মাণ
সভ্যতায় ঠেস দিয়ে
আরণ্যক
ছায়া দীর্ঘ হয়ে আসে আর
মধুমাস
ঘিরে রূপমুগ্ধ যুবকের দিল
ঘোরতর
নোনা বৃষ্টির চিঠি লেখে।
আল্পসের
ডাকঘরে উড়ে আসে এইসব চিঠি
কিছু
প্রেম ঠাসা আর কিছু রোদ্দুর
রূপালী
আলোর হিম এখানে
অপর্ণা
কেবলই শীতের খবর বিলি করে ব্রাত্যজনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন