কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
ভোরে
পাতায় হাত বোলাতে
গিয়ে
মসৃণ ক্রিয়ার
ঢেউয়ে
ত্বক দিয়ে জানি
সমূহ নির্মোক
নিভৃত পরিচর্যা
বলি না
আত্মজের মুখে
প্রতিষ্ঠা খুঁজে পাই
জীবননিষ্ঠা
নেই জমকালো মুখোশটি আঁটা
শ্বেত মানে
বৈধব্য নয়
অর্থহীন দোলকের
গতি
থেমে যাওয়া
করুণ ন্যায়
ভোরের পাতায়
ওঠে এই নৃশংস বিদ্রুপ
তা নয় তা নয়
চেয়েছি আনন্দমাখা
এক শাদা ফুল।
যা কথা
বিশুদ্ধ গন্ধক
কিনে রাখার কথা
সুগন্ধী দেহকোষে
আমার বেঁচে থাকবার অভিমান
সবার থেকে কোথায়
আলাদা এত
নিশ্চিতভাবে
জনচেতনার শব্দে আমি বৃত
দেওয়ালির অন্ধকারে
আমিও আলোর কথায় মগ্ন
বিষবাষ্পের
নিঃস্ব দ্যোতনায় মূক
অন্ধ ও বধির
আত্মখণ্ডটি আনন্দসাগরে যেতে চায়
দুই চেতন জীবনখণ্ড
যদি একাত্ম সময়ের
একবিন্দু স্মারক
রেখে যেতে পারে
এমন নিভৃত আলো
সহজভাবে আস্তে পারে না
আমাদের দ্বার
রুদ্ধ, নির্ধারিত সংজ্ঞার অধীন
বৃত্তের ভেতর
বিন্দু বিন্দু পদচিহ্ন গড়ে যাই
সূর্যগ্রহণের
ধ্বনিরশ্মি কেন্দ্রসীমা ছাড়িয়েছে কতদূর।
শিল্পীর নাম
আমার কি দায়
আছে এত ভেবে
লিখতে হবে প্রথম
শব্দটি
মনে আসে রাধাগোবিন্দ
নাথ হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
এই নামশব্দ
রক্তমাংসে মহিমময়
আধ্যাত্মিক
ধ্যান ও প্রেমের আভাসে
কি দরকার এই
শব্দলাভে
কবিতায় নাম
নিয়ে এভাবে খেলা চলতে পারে
শিল্পিত শব্দ
কারবার, পরিচিত খেলা
কে যে রচয়িতা
হাজার বছরের পুরোনো মূর্তিটির
কত মাটি কেটে
যাওয়া আরও নাম চাই,
যাঁরা আপনহারা
সময়জ্ঞানে সুমেধ
জলের মতোই হারানো
ঘূর্ণাবর্ত শুধু তাঁদের পরিচয়।
গদ্য
গদ্য লেখার
পর কবিতা লেখা
গ্রাম থেকে
শহরের দিকে অনেকটা হেঁটে
মধ্য-শহরে থমকে
দাঁড়ানোর মতো
গদ্যে যা লেখা
হল তা কবিতা হতে পারে
তবু আবার কেন
সেই লেখার পুনরাবৃত্তি ঘটানো
নাগরিক সৌন্দর্য
কি দাঁড়িয়ে দেখবার মতো কিছু?
আমার নার্ভের
অসুখ আছে
স্বতঃস্ফূর্তভাবে
লিখতে পারি না
কে যেন ধরিয়ে
দিয়েছে এ বিদ্রুপ
কিন্তু আমার
তো মনে হয় না যে
নিরানন্দে কিছুতে
মত্ত হয়ে থাকি
এ বিষয়ে আমি
স্বাভাবিক সচল
ত্র্যহস্পর্শের
দোষ নেই
অন্ধকারের বন্যায়
ভেবে ওঠা সমতলে
মূর্খের কবিতা
সবাক হয়ে ওঠে
সে ভাষায় সৃজন
পুজো পায়
অনন্তমাতৃকা
ন্যস্ত হয়ে যান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন