কবিতার কালিমাটি ১০৬ |
নিরাশ্রয়ী ফুল
সে-রাতে হঠাৎ চাপা স্বরে ডেকে নেয় হাওয়া। অদূরে কালো ঢেউ খুব ফুঁসে ওঠে। হু হু বাড়ে জল। ফিসফিস খোঁয়াড়ির মাঝে নিষেধের দরজায় দেখি থ্যাঁতলানো শব পড়ে আছে। দূরে বাঘের থাবার নিচে আর্তনাদ। কাচের আকাশ ভেঙে পড়ে! কথা আর না-কথার মাঝে ফুটে থাকে তীর্যক ছায়া। বুনোহাতি যেন, একা তছনছ করে দেবে আজ ডাউন মেমোরি লেন।
এইটুকু সামান্য জীবনে এভাবেই ঝড় ওঠে মাংসে ঝোলে একাকার স্নায়ুর বিকার। উনুনের নিভু আঁচে অন্ধ কথা যত অভিযোগে হয় আলুথালু। অপ্রসন্ন অন্ধকারে লোভের ময়ূর হাসে।
যেন
নিরাশ্রয়ী ফুল এক অসতর্ক স্রোতে ভেসে কাছে এসেছিল। চলে যাবে এখুনি আবার…
নীল
গ্রহণ
এসেছে নেমে
মাঝরাতে ভিতর বাগানে
একবিন্দু
জল যদি
তবু
ফোটে চৈতন্যের নীলে
শরীরের
তন্ত্রী ছিঁড়ে তৈরি হবে অবিরাম গান
আমাদের
অগ্রন্থিত কবিতা সেদিন, গুম্ফা ছেড়ে
যুযুধান
বেশে, নেবে ঠাঁই, জেনে রেখো, জগৎ গোঁসাই…
‘না’
‘না’-এর ভেতর
কোথাও যেন ইঙ্গিতে সুর বাজে। ডুঙ্গি ভাসে তুঁতরঙা আকাশে। ভাঁটার মুখে দুঃসময়ে উজানী ঢেউ আসে। ঢেউয়ের ঝুঁটি
উঁচিয়ে খুব ভ্রমান্ধকে ডাকে। অল্প জমাট ঘুম জমে যায় চাঁদে।
ঋষ্য
হরিণ বিদ্ধ হবার অবাক মোহর ছাপে, দৌড়ে আসে পথে। মাটির ময়ূর পুচ্ছ নাচায়, তখন,
ডাইনে-বায়ে,
ওপর-নিচে প্রজ্ঞাপাখির মতো।
‘না’-এর ভেতর
আসলে এক ‘হ্যাঁ’-এর আভাস আছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন