কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
সুরের লহমায়
রূপক রাগে যে
মীড়ের অলংকার ছিল
তা কোনো পাখির
পালকে আঁকা রং,
সুরের লহমার
মত আবেশে জড়ায়।
পাখির গান মিলিয়ে
যায়
সন্ধ্যার আঁধার
ছেয়ে আসে
নদীর জলে ভেসে
যায় ডিঙিনৌকা।
ছায়ার মত অনুসরণ
করে ভালোবাসা
অগণিত তারার
ভিড়ে মিলিয়ে যাওয়া মুহূর্ত।
রূপনগরের ভালোবাসা
খড়ের টুকরোর
মত জলে ভাসে
রূপনগরের ভালোবাসা।
কবিতার আখরে
যেন রুদ্ধ নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে।
ছলনা আর ব্যঞ্জনায়
গাঁথা কথার মালা
শেকলের মত পায়ে
বেড়ি হয়ে জড়িয়ে নেয়।
নকশিকাঁথা আর
পদাবলী গাঁথা হয়
পাতার পর পাতা
কালিতে ভরে যায়
জলে ডোবা মানুষের
মত হাত দুটো শুধু ভেসে ওঠে।
নৈশ অভিযান
রাতের তারারা
জ্বলজ্বল করে আকাশে
চাঁদের আলো
মেঘের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারে।
পাইন গাছের
মাথায় বাতাসের কারচুপি
গাছের ছায়া
পড়ে বাড়ির চালে আর আশেপাশে।
তিরতির বয়ে
চলা নদীর জলে মৃদুমন্দ ঢেউ
পার্শ্ববর্তী
শহরের আলোয় চিকচিক করে।
এমনি একটি রাতে
তোমার হাত ধরে হেঁটে গেছি
অনেক দূর দেবদারু
পাইনের মাথা ছাড়িয়ে।
আরও অনেক দূর
যেতে চাই অন্য কোনো দেশে
তুমি থেকো সাথে
চিরকালীন হাত ধরে ভালোবেসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন