বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

উমাপদ কর

কবিতার কালিমাটি ১০৫

 


চতুর দশপদী

 

(১১)

 

স্তবকে ডোবানো মাছের রুপোলি মাটো।

অ্যাকোয়ারিয়াম ওদের আদর করো।

কাচের ছ’পাশে বিন্দু হয়ে আছে ভ্রম

সেতারের ঝালা জন্মাতেই জলে রং

জড়ো হয় চার পাঁচ ছয় সাত আট

অষ্টকের সুর পার আরও কিছুটা

হয়তো শুনতে চায় ওরা, সুরাধিক

কিছু কি বাজাতে পারো বিনোদনশীল!

 

ঘুমোতে-যাওয়া আলো সুইচটা অফ

করে দ্যায়, অন্ধকারে শতচোখ জ্বলে।

 

(১২)

 

সবাই বলছে দেবে, সানুপুঙ্খ দেবে

ভ্রম ও ভণিতা, আলোচালে দুধ-কলা।

 

মরতেও পারে পিঁপড়ে ও পিদিমের

আলো, ঘুরছে যে নর্তকীর বাঘছাল।

 

ঘুমোলে উঠতে নাও পারে পাগলের

চিৎকার, তাকে ছাড়া বরবাদ সভা।

 

কঠিন সময় মালুমই পায় না-কি

কতটা কঠিন! বরফের খুলিহাড়।

 

নাচ এসো, এক পেগ নাচের বহরে

জাদু করি। লিলি ফুলে লিখে রাখি বর্ষা।

 

(১৩)

 

গলির বাঘেরা সদরের ঘাটে এসে

পিরেনগুলো আমার হাতে দিয়ে, জলে।

কেলি আর খেলি, জলাজলি মলামলি

এত বাঘছাল আমি কার হাতে দেব!

 

ফিরতে হবে যে! অনেকটা একলামি

বসিয়ে এসেছি স্টোভে, কেটলি ভরতি।

ফুটে ফুটে বাষ্প হয়তো-বা হয়রান,

এত তাপ আমি কার চোখ জুড়ে রাখি!

 

একলাটুকু হারিয়ে সদরে কী করি!

গলিতেই ঢুকে যাই, একদা বাঘেরা—

 

 

 


1 টি মন্তব্য:

  1. ফরিদ ছিফাতুল্লাহ২৫ অক্টোবর, ২০২০ এ ৮:৪২ AM

    বেশ চতুর কবি তো আপনি? দ্শপদী লেখেন চতুর। ভালো লেগেছে দাদা। শুধু নামে নয় ভাবনাতেও চমৎকারিত্ব আছে।

    উত্তরমুছুন