কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
উপহার
রাত গভীর হলে
কথা শুরু হয়
কথারা চলতে
থাকে নিঃস্তব্ধ জমাট বাঁধা
অন্ধকারে
ভোর হওয়ার মুহূর্ত
অবধি এই একাকী কথকই আমার একমাত্র সঙ্গী
প্রিয় বন্ধু,
যদি কখনো আমার কথা শুনতে আসো
একটা প্রদীপ
এনো
যাতে আমি বন্ধ
জানলার
ফাঁক দিয়ে
ব্যস্ত পথিকদের
দেখতে পাই।
মায়া
হঠাৎ দেখা তোমার
সাথে
অফিসবাড়ির আশি
তলাতে
না, হাত ধরিনি,
প্রেমও হয়নি
তবু মুখোমুখি
কিংবা পাশে
হঠাৎ হাসি,
কিছু কবিতা
কিছু ভালো-লাগা
এমন তো হয় কতবারই
কত ইশারা, ডাক
নির্জনে
তুমি তো ডাকোও
নি ভুলে
তবু কেন রয়ে
গেলে পাতা জুড়ে
এই লেখা তাই তোমায় নিয়ে
থাক সেখানে
তোমার হাসি,
থাক কিছু বিষাদ,
কিছু অকপট
জীবনগাঁথা
বাকিটা তো সবই
মায়া
আলো ছায়ায় নিরন্তর
ঢেউয়ের খেলা
ডুবব আমি ভাসব
আমি
ভাবনাটা যে
শুধুই আমার...
এলোমেলো ভাবনা
কিছু লিখতে
গেলে ভাবি কেন লিখব
শুধু শুধু লিখে
কী হবে!
কে পড়বে আর
কেই বা মনে রাখবে!
জীবন তো স্রোতের
মতো
ভেসে যায় আনমনে
তাতে কথারাও
ভেসে যায়, ভেসে যায়
মান অভিমান,
মন খারাপ আর ভালোবাসা
তবুও যখন বৃষ্টি
নামে
ঝুমঝুম তাথৈ
তাথৈ শব্দে নেচে ওঠে
আকাশ, তখন নেমে
আসি পথে
এই পথেই লেখা যাবতীয়
একা থাকার গল্প,
পথেই পরে থাক…
আমি চোখ বন্ধ করে
ভিজতে থাকি,
নাচতে থাকি, গান করি,
কাঁদি...
যতক্ষণ না কেউ
চিৎকার করে বলে ওঠে
দূর হটো...
তফাৎ যাও...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন