কবিতার কালিমাটি ১০৩ |
আকণ্ঠ বিদ্যুৎ
তোমার উলটো পিঠে
কেউ কি
জানতো কিছুদিন
বিলাপ করার পর -
অবহেলা
জমে যায়, সুড়ঙ্গ করে চলে শূন্য থেকে নেমে
আসে মোহ - পলিপাথর আর রক্ত মাংসের
মধ্যে সংযুক্ত
নদীতে নীল
যুগান্তর - সেখানে সমুদ্রের উপস্থিতি ধরে রাখে উত্তাপ -
যখন কাকটি
ডেকেছিল, দরজা খুলে বেরিয়ে এসেছিল
প্যারামিটার,
আমরা তো
বদলাতে চাই নি - তবু কলস কাঁখে উঠে আসে
যৌনরমণী
শূন্য :
এবার তুমি কী ভাগ করবে ভেবে নাও
চাল শুকনো
করে তুলে নেওয়ার পর - পড়ে
থাকা চালে
কাক এসে
বসে - থেকে যাচ্ছে হাওয়ার
ছোঁয়া আর
ঘরামির
বাটালির
শব্দ; কয়েক ফোঁটা জলের জন্য মেঘ উড়ে যাচ্ছে -
কাকটি
দেখে নিচ্ছে আকাশের রং; এসব লৌকিক ঘটনার
মাঝে
ছাউনি তৈরি হয়ে যাবে কাল - ছায়া থেকে ছায়ায় ডেকে
যাবে কাক
-
আমি
আবর্জনার বানান শিখতে শিখতে কাটিয়ে দিই
স্বপ্নকল্পনার
আহ্নিকগতি
বরণের মান
বার করো
কাক :
এবার তুমি ত্বরণের মান বার করো
হলুদ
পাখিটি এসেছে আবার - কিন্তু এ
মৃত্যু নয়, সব
উপকূলের
জন্য যেমন
দরজা খোলা থাকে, তেমনিই -
আমার কোন
দোষ নেই, কতজনই যে
তার প্রিন্ট আউট নিয়ে
মাধ্যাকর্ষণের
দিকে তাকিয়ে থাকে - ভাসায় ছাউনি আঁকা
পাতা -
মহৎ ঘাসের
ডগায় ফেলে দেয় পালক - সমস্ত
মিথুন রাশির
ওম্
বিকিরণ হয়ে যায় -
রাস্তা
পার হয়ে যাই আমরা - তবুও
কেউ কোথাও যাচ্ছি না
মৃত্যু :
তবে তুমি এত অস্থির হও কেন -
জিজ্ঞাসা
যদি ফুল হয় তবে বুকের যুঁইগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় -
স্বাদ আর
গন্ধের অনুকূল অর্কিড ঝুলতে থাকে মহার্ঘ লাবণ্যে
তবুও নদীর
পাড় ভেঙে গেলে ঘোলাজলের ধানখেতে ঘুরপাক
খায় মাছের
দিবাস্বপ্ন; তবুও পৃথিবী গোল আর রোদের
প্রভাবে
আলো হয় চিকচিক -
এ ফ্রেমের
ভিতর রং করতে করতে ওড়ে আকাশ, দু’পক্ষে
ভাগ হয়
ইলেকট্রন
আমি
দিগন্তের দিকে তাকিয়ে গিলছি শিরদাঁড়ার উলটো পিঠ-
জন্ম :
তারপর খাদ জড়িয়ে জড়িয়ে খুলে দেখ কম্পনের ভার
নিউট্রনের
ভিতর পৌঁছে দেওয়া গেল অন্তরারে - নিস্তড়িৎ
হয়ে
যাচ্ছে নিরন্নতা, অন্ধকারের অপেক্ষায় ডানাগুলো সমস্ত
নোট
পুড়িয়ে দেয়; গা মা পা নি রে সা রে সা সা - মৃদুল
গান
গাহিয়া
বাতাস জেগে ওঠছে সান্দ্রতায়
রিমি ঝিমি
প্রহরে কী বেজেছিল জানি না; ক্যাকটাস, আরো
নেমে এসো
কাছাকাছি
সমুদ্রের
নিচে পড়ে থাকা অবহেলায় বাইফোকাল চশমা দ্যুতিমান
মহাশূন্য : আশা
রেখে না আর, টলটলে দিঘির বাঁধন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন