শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

শুভায়ু দে

 

কবিতার কালিমাটি ১০৩


ব্রাত্য

বেলাশেষে পলাশীগুঁড়ো,
চোখে জ্বলে এ বুকের লাল।
মৃদু আভা সূর্যের,
কখন যে সরলরেখায় মিশে গেছে জলে!
আর ঝুপ!
অমনি রাত্রি আসে,
মেহফিল জমে ওঠে।
সূর্যকে হাত পা মুছিয়ে ঠান্ডা করে দেওয়া গোধূলিবেলা।
কে মনে রাখে!

কে মনে রাখে হাওয়াই মিঠাই!
মুখে দিলে শেষ হয় চিনির রোশনাই!
 
সেতুরা এভাবেই ব্রাত্য থেকে যায়!


কাঠ

নগরজীবন গড়ে ফেলে দেওয়া গাছছাল,
সুদৃশ্য ঘর জুড়ে গাছের কফিন।
শক্ত ভিতের ওপর বুলি কপচাও।
ভোকাল কর্ডে আছে একেকটি কাঠ।
একেকটি সজীব উপাদান,
পুড়িয়ে বানিয়েছে সিক্স প্যাক।
শ্রম-ঘাম কটিদেশে।
কাঠে কাঠ ঠুকে; আগুনে পুড়িয়ে তোমায়
কাজ বার করে।


উইকেন্ড

ক্রমাগত ব্যাভিচার করো।
সাতদিন খাটিয়ে শেষে,
একদিন মানসিক অত্যাচার!
মাইনে তো দিয়েছো গুরু সাপ্তাহিক।
তুমি তো উইকেন্ড, মদে মদে ভাসাবে,
আনন্দে মশগুল, টাকা দিয়ে চাঁদ খাবে।
আমিও তো মাল খাবো।
উইকেন্ড আজকে।
লাল হবে নীল জল।
সব হবে, ঘুম ছাড়া।
কালকে উঠেই হবে পরশুর চিন্তা।
তুমি শোবে দ্বিপ্রহর,
ব্রাশ না করেই খাবে বেড টি আর লাঞ্চ।
আমার সে নেই চান্স।
উঠে তো মাথায় হাত!
নষ্ট করেছি টাকা মদে মদে কাল।
ব্যাস,অমনি তো নেশা শেষ।
মদের টাকাও গেলো নষ্ট।

সব ছুটি এক হয় না।
সব মদে একই রঙ থাকে না।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন