সমকালীন ছোটগল্প |
বিয়ে
শুভর কাছে
অপর্ণা একটা মানচিত্র। অবশ্য পুরুষের কাছে নারীর মানচিত্র হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। নারীর
অন্দরমহল জুড়ে কীই বা নেই! ঝরণা নদী উপত্যকা মেঘ পর্বত। শুভ রোজ টিউশন পড়ার নাম
করে অপর্ণার বাড়ি আসে। অপর্ণা এম এ পাশ করে বসেই আছে। ঘর থেকে পাত্র দেখার চল শুরু
হয়েছে ইদানিং। অপর্ণা এড়িয়ে যেতে চায় রোজ। যত চেষ্টা করে, তার বাবা মা তাকে আরও
জড়িয়ে ফেলে। অন্যদিকে শুভ অপর্ণার থেকে প্রায় বছর পনেরো ছোট। সদ্য গোঁফের রেখা তার
মুখে। অপর্ণার মা শুভর মায়ের পারিবারিক বন্ধু। শুভ ইংরাজিতে একটু কাঁচা। সেকথা
ভেবেই অপর্ণার কাছে প্রস্তাব রেখেছিল রুবি আন্টি। অর্থাৎ শুভর মা।
শুভর প্রতিদিন
নিত্যনতুন বায়না। ওয়েস্টল্যান্ড পড়তে পড়তে হঠাৎ তার আঙুল চলে গেল অপর্ণার
বিভাজিকায়। সে শিউরে ওঠে। এমনটা তার হয়নি বহুদিন।
-ওয়েস্টল্যান্ড
দেখবো তোমার দিদি।
-অ্যাই। আজ
একদম নয়। বাপি ফিরবে এক্ষুণি।
মা আর বাপি, দুজনেই
স্কুলশিক্ষক। দুপুরটা একলাই থাকে অপর্ণা। এই সময়টাতেই শুভ পড়তে আসে তার কাছে। আজ
অবশ্য বাপির স্কুলে স্পোর্টস। তাড়াতাড়ি ফিরবে। অপর্ণা সরে যেতে চায়। পারে না। অপর্ণার
নাভি ঘিরে বিলি কাটতে থাকে শুভ। দুষ্টুমি করে পাজামার সুতো খুলে দেয়। “অ্যাই,
দুষ্টুমি নয়!” শুভ নাছোড়। অপর্ণাকে সে নগ্ন করে ছাড়ে। তারপর তার উরুসন্ধিতে ঠোঁট
চেপে ধরে। লেহন করতে থাকে তার যোনি। এক সমুদ্র শিহরণ আছড়ে পড়ে অপর্ণার বুকে। শুভ
পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। ওয়ার্ডসওয়ার্থ খোঁজে, কিটস খোঁজ করে অপর্ণার শরীরে।
-এসো শুভ। এসো।
-উঁহু!
শুভ ঘাড়
নাড়িয়ে জানান দেয়। আজ তার অন্য নেশায় পেয়েছে।
-ঝর্ণা দেখবো
তোমার।
-সে আবার কীই
রে?
-বসো আমার
ঠোঁটের ওপর।
অপর্ণা শুভর
সদ্য গোঁফ-ওঠা ওষ্ঠাধরের ওপর উঠে বসে। তার শরীর থেকে ঝর্ণা বেরিয়ে আসে। তৃষ্ণার্ত
পথিকের মতো তা লেহন করে শুভ। একটি ফোঁটাও বাইরে পড়তে পারে না। যেন মৃতসঞ্জীবনী।
-এবার?
-এবার তুমি।
স্থান অদলবদল
হয়। এবার তৃষ্ণার্ত অপর্ণা।
-অ্যাই শুভ। খুব
ওইসব দেখিস না আজ?
-নাহ। তুমি
থাকতে ওসব আর কেন? ওগুলো তো রেকর্ডেড। তুমি হলে লাইভ।
হঠাৎ বুকের
ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে অপর্ণার। ওই ছবি আর তার মধ্যে কোনও ফারাকই কী নেই? ভাবে, শুভকে
জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু সরে আসে। কী লাভ! শুভ মন দিয়ে তার যোনির অ্যানাটমি দেখছে।
-কাল থেকে
আসিস না আর।
শুভ আকাশ থেকে
পড়ে। “কেন দিদি? রাগ করলে?”
-না রাগ
করিনি। এমনিই আসিস না। কারণ আছে।
-কী কারণ?
-আছে। জানতে
পারবি।
শুভ চলে গেলে
পাজামা পরে নেয় অপর্ণা। বেল বাজছে। বাপি এলো বোধহয়। বাপিকে আজ সে বলে দেবে, তার
পাত্র পছন্দ হয়েছে। বিয়েটা সেরে ফেলবে সামনের লগ্নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন