কবিতার কালিমাটি ১০২ |
দীর্ঘ হচ্ছে
কাফেলা
দ্বিধা নিয়ে বসে আছে মানুষ
পাশে দীর্ঘতর রাত, দ্বন্দ্ব ও দ্বিধা, দূরতম ছায়ার বিলাপ...
চারপাশে ঘোট পাকানো নীরবতা
নিয়ত গ্রন্থী ছিঁড়ে উড়ে যায় বুকের হরফ
দ্রুত ধাবমান খুর, সাদা ঘোড়ার কেশর
চুম্বনগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে আকাশ
বৃষ্টির কণাগুলো আবির, জলেরকাব্য, জন্মবীজ
আমি সেই বীজ থেকে উদ্ভূত উদ্ভিদ
যারা পূর্বে এসেছিল
আর যারা এসেছিল পরে
তারাই একে একে মিলিয়েছে গলা
তারাই সারিসারি কদম ফেলেছে
গান হয়ে, সুর হয়ে মিশে গেছে সবখানে
এ এক আশ্চর্য মিছিল
হুটহাট ফেলে দিয়ে ঝাঁপি - সাদা কাপড়ে এসে বলছে ‘যাই’
অথচ, তাদের যাওয়ার কথা ছিল না
আরও কিছুদিন শস্য ও সম্ভাবনা হয়ে থেকে যাওয়ার কথা ছিল...
পূর্ব কিংবা পশ্চিম
উত্তর কিংবা দক্ষিণ, সবখানে আজ একই আওয়াজ, একই প্রতিধ্বনি
দীর্ঘ হচ্ছে কাফেলা!
দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রা!
প্রশ্নের সারিসারি মেঘ আজ
কড়া নেড়ে যায় বোধাতীত
সমস্ত শক্তি, ক্ষমতা ক্ষয় হয়ে যায় পৃথিবীর পরিখায়, গলিত ঢালুর লাভায়
অগম্য মানুষেরা চিরদিন ভয় পায়
ভয় পায় অসীম আলো
বিস্ফারিত শব্দের নিটোল মাহাত্ম্য
একদিন অন্ধকার জ্বালাতে জ্বালাতে
চিরায়ত বিষাদের বিরুদ্ধে যেতে যেতে
নিরঙ্কুশ সত্যের সামনে খাপখোলা তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে যাব নিশ্চয়ই
তখন ছাই থেকে, উদগত স্ফুলিঙ্গ থেকে
তারারা স্বরলিপি হয়ে ছড়িয়ে পড়বে দিক থেকে দিগন্তে...
পৃথিবী নামক
যে গ্রন্থটি পড়ার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছি
সেটি আজও পড়ে ওঠতে পারিনি
প্রকৃত উদ্ধার করতে পারিনি তার মর্মার্থ
অথচ নদী এসে পাহাড় এসে প্রতিদিন কত গল্প শুনিয়ে যায় শিয়রে বসে
আমি তার কিছুই মনে রাখতে পারিনি, পারি না...
যে সংগ্রামটা আমি করে চলেছি আমারই বিরুদ্ধে
তা আজও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল
রয়ে গেল অধরা, অহমজাত
অথচ যে বারুদ আমি নিয়ে এসেছিলাম
আর যে স্ফুলিঙ্গ আমি জ্বালাতে চেয়েছিলাম, তা আজ ক্ষীয়মান, অবলুপ্ত
উপত্যকা...
তাই দীর্ঘ হচ্ছে কাফেলা
দীর্ঘ হচ্ছে সারি সারি গাছ, সারি সারি মৃতের হুলিয়া...
দ্বিধা নিয়ে বসে আছে মানুষ
পাশে দীর্ঘতর রাত, দ্বন্দ্ব ও দ্বিধা, দূরতম ছায়ার বিলাপ...
চারপাশে ঘোট পাকানো নীরবতা
নিয়ত গ্রন্থী ছিঁড়ে উড়ে যায় বুকের হরফ
দ্রুত ধাবমান খুর, সাদা ঘোড়ার কেশর
চুম্বনগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে আকাশ
বৃষ্টির কণাগুলো আবির, জলেরকাব্য, জন্মবীজ
আমি সেই বীজ থেকে উদ্ভূত উদ্ভিদ
যারা পূর্বে এসেছিল
আর যারা এসেছিল পরে
তারাই একে একে মিলিয়েছে গলা
তারাই সারিসারি কদম ফেলেছে
গান হয়ে, সুর হয়ে মিশে গেছে সবখানে
এ এক আশ্চর্য মিছিল
হুটহাট ফেলে দিয়ে ঝাঁপি - সাদা কাপড়ে এসে বলছে ‘যাই’
অথচ, তাদের যাওয়ার কথা ছিল না
আরও কিছুদিন শস্য ও সম্ভাবনা হয়ে থেকে যাওয়ার কথা ছিল...
পূর্ব কিংবা পশ্চিম
উত্তর কিংবা দক্ষিণ, সবখানে আজ একই আওয়াজ, একই প্রতিধ্বনি
দীর্ঘ হচ্ছে কাফেলা!
দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রা!
প্রশ্নের সারিসারি মেঘ আজ
কড়া নেড়ে যায় বোধাতীত
সমস্ত শক্তি, ক্ষমতা ক্ষয় হয়ে যায় পৃথিবীর পরিখায়, গলিত ঢালুর লাভায়
অগম্য মানুষেরা চিরদিন ভয় পায়
ভয় পায় অসীম আলো
বিস্ফারিত শব্দের নিটোল মাহাত্ম্য
একদিন অন্ধকার জ্বালাতে জ্বালাতে
চিরায়ত বিষাদের বিরুদ্ধে যেতে যেতে
নিরঙ্কুশ সত্যের সামনে খাপখোলা তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে যাব নিশ্চয়ই
তখন ছাই থেকে, উদগত স্ফুলিঙ্গ থেকে
তারারা স্বরলিপি হয়ে ছড়িয়ে পড়বে দিক থেকে দিগন্তে...
পৃথিবী নামক
যে গ্রন্থটি পড়ার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছি
সেটি আজও পড়ে ওঠতে পারিনি
প্রকৃত উদ্ধার করতে পারিনি তার মর্মার্থ
অথচ নদী এসে পাহাড় এসে প্রতিদিন কত গল্প শুনিয়ে যায় শিয়রে বসে
আমি তার কিছুই মনে রাখতে পারিনি, পারি না...
যে সংগ্রামটা আমি করে চলেছি আমারই বিরুদ্ধে
তা আজও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল
রয়ে গেল অধরা, অহমজাত
অথচ যে বারুদ আমি নিয়ে এসেছিলাম
আর যে স্ফুলিঙ্গ আমি জ্বালাতে চেয়েছিলাম, তা আজ ক্ষীয়মান, অবলুপ্ত
উপত্যকা...
তাই দীর্ঘ হচ্ছে কাফেলা
দীর্ঘ হচ্ছে সারি সারি গাছ, সারি সারি মৃতের হুলিয়া...
জোড়া কবুতর
জোড়া কবুতর, সাদা রঙ
সাদা মন, লাইটপোস্টের মাথায়
একে অপরের ডানা খুঁটে দেয়, কাছাকাছি হয়
আর এদিক ওদিক তাকায়
পৃথিবীকে দেখে, হতে পারে মানুষকেও
প্রথমে একজন, পরে অন্যজন
যে যার মত উড়ে যায়
কথা শেষ হয়ে গেলে আবিরটুকু রেখে যায় মুগ্ধ আলোয়...
মানুষের মত তাদেরও ভালবাসা হয়
হয়ত তাদেরও ছেলেপুলে হয়, ঘর হয়, খাবার নিয়ে হয় খুনসুটি
জোড়া কবুতর, জোড়া শালিক যেমন!
দূর থেকে দেখি আর
বুকের ভেতরে বুক ঘষি
আমার কোনও ডানা নেই
নিশ্চিন্ত উড়াল নেই
তবু, পড়ে থাকি ঘরের আশায়
ডানার আশায়...
জোড়া কবুতর, সাদা রঙ
সাদা মন, লাইটপোস্টের মাথায়
একে অপরের ডানা খুঁটে দেয়, কাছাকাছি হয়
আর এদিক ওদিক তাকায়
পৃথিবীকে দেখে, হতে পারে মানুষকেও
প্রথমে একজন, পরে অন্যজন
যে যার মত উড়ে যায়
কথা শেষ হয়ে গেলে আবিরটুকু রেখে যায় মুগ্ধ আলোয়...
মানুষের মত তাদেরও ভালবাসা হয়
হয়ত তাদেরও ছেলেপুলে হয়, ঘর হয়, খাবার নিয়ে হয় খুনসুটি
জোড়া কবুতর, জোড়া শালিক যেমন!
দূর থেকে দেখি আর
বুকের ভেতরে বুক ঘষি
আমার কোনও ডানা নেই
নিশ্চিন্ত উড়াল নেই
তবু, পড়ে থাকি ঘরের আশায়
ডানার আশায়...
ভোরের নীলিমায়
তাকে দাঁড় করিয়ে রেখেছি
'ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমিয়ে পড়া যায়
বসে থাকতে থাকতে আর বসে থাকা যায় না -- বলেছেন, কামু।'
কতগুলো অদ্ভূত চিন্তা, অদ্ভূত স্যানাটোরিয়াম মাথায় ঘুরছে
দৃশ্যগুলোর নোট নিচ্ছে ছায়া, ল্যাণ্ডস্ক্যাপ বড় হয়ে যাচ্ছে...
প্রকৃতি কি জানে, তার গল্পের শেষ দৃশ্যে কী আছে, কিংবা তার সমাপ্তি কোন জায়গায়?
কেমন ছিল শুরুটা?
আমি প্রতিদিন কত কত দৃশ্য, কত কত ছবি দেখে যাচ্ছি
কখনও কখনও রোদের ভিতরে মেঘ ঢুকে যাচ্ছে, মেঘের ভিতরে বৃষ্টি, বিদ্যুৎ
কখনও নদীতে মিশে যাচ্ছে নদী
ঢেউয়ের ভেতরে অফুরন্ত ঢেউ
সাগরের তলদেশে হারিয়ে যাচ্ছে কতশত জলরাশি, জলজসম্পদ।
আবার কোনো কোনোদিন তারাদের বুকে অজস্র গান
অজস্র কবিতা এসে ডুব দিয়ে যাচ্ছে জলপাইবনে
তখন শীতকাল, না বর্ষাকাল কিছুই ঠাহর করা যায় না
শুধু পিঁপড়ের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে থাকে
মানুষের বুক থেকে উড়ে যেতে থাকে রাতজাগা অজস্র পাখির ডানা
একফোঁটা বৃষ্টির আশায়, একবিন্দু আলোর আশায় চঞ্চু ডুবিয়ে চেয়ে থাকে
আমি প্রতিদিন কত কত দৃশ্য, কত কত ছবি দেখে যাচ্ছি
কখনও কখনও রোদের ভিতরে মেঘ ঢুকে যাচ্ছে, মেঘের ভিতরে বৃষ্টি, বিদ্যুৎ
কখনও নদীতে মিশে যাচ্ছে নদী
ঢেউয়ের ভেতরে অফুরন্ত ঢেউ
সাগরের তলদেশে হারিয়ে যাচ্ছে কতশত জলরাশি, জলজসম্পদ।
আবার কোনো কোনোদিন তারাদের বুকে অজস্র গান
অজস্র কবিতা এসে ডুব দিয়ে যাচ্ছে জলপাইবনে
তখন শীতকাল, না বর্ষাকাল কিছুই ঠাহর করা যায় না
শুধু পিঁপড়ের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে থাকে
মানুষের বুক থেকে উড়ে যেতে থাকে রাতজাগা অজস্র পাখির ডানা
একফোঁটা বৃষ্টির আশায়, একবিন্দু আলোর আশায় চঞ্চু ডুবিয়ে চেয়ে থাকে
ভোরের নীলিমায়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন