অবন্তিকা সিরিজ
দ্রুতির দেবী তুই ডারলিং
উত্তর বিশ্বায়নে তুই অবন্তিকা একেবারে
পালটে গিয়েছিস রেড ওয়াইন সফ্ট ড্রাগস
ক্যাজুয়াল সেক্স দ্রুতির দেবী হতে গিয়ে
পুড়ে খাক হয়ে গেলি কিনা চাকরি বদল
শহর বদল করলি কতবার এই নিয়ে
মন তোর ভরে না কিছুতে টানা কাজ
স্মার্ট ফোন প্রজেক্ট রিপোর্ট কাঁধে
ল্যাপটপ কোক বারগার পিৎসা সিগারেট
রাত জেগে সপ্তাহান্তে বিঞ্জ-পার্টি
নতুন মডেল গাড়ি পালতু বয়ফ্রেন্ড
হাইহিলে দৌড়ে ধরতে চলেছিস দ্রুতি…
নুন ও নিমকহারামি
তুই তো আমার ঘাম জিভ দিয়ে ছুঁয়ে
বলেছিলি অবন্তিকা, ‘আহ কি নোনতা
অন্তরতমের প্রাণ— পুরুষালি ঘ্রাণ’;
সেই দিন, লক-আপ থেকে আদালতে
হাতে হাতকড়া আর কোমরে দড়ির
ফাঁসে বাঁধা, হেঁটেছি ডাকাত-খুনিদের
সাথে, রাজপথে
সার্কাসপ্রেমীদের ভিড়।
বিশ্বাসঘাতক যারা, আমার বিরুদ্ধে
আদালতে রাজসাক্ষী হয়েছিল, তারা
কাঠগড়া থেকে নেমে বলেছিল, নুন
তো পায়নি, মিষ্টি ছিল আমার
ঘামেতে :
তাই বিশ্বাসভঙ্গের প্রশ্ন নেই কোনো—
নিমকহারামি বলা চলবে না তাকে।
আলফা পুরুষের কবিতা
কী দিয়ে তৈরি তুই? নারীকে কবিতায়
আনা যাবে নাকো বলে তোর হুমকি
অবন্তিকা! কোন ঋতু দিয়ে গড়া? স্কচ
না সোংগল মল্ট? নাকি তুই হোমিওপ্যাথির
শিশি থেকে উবে যাওয়া ৩৫ হাজার ফিট
ওপরে আকাশে, প্লেনের হোল্ডে রাখা
শীতে
নদীর মোচড়ানো বাঁকে ইলিশের ঝাঁক?
আলোকে দেশলাই বলে ভাবলি কী ভাবে
কেন? কেন? কেন?
কেন? অ্যাঁ? অবু,
অবন্তিকা? ভুলে গেলি তোরই ছোঁয়া
পেয়ে
আড়মোড়া ভেঙেছিল চকমকি পুরুষ-পাথর!
বল তুই, বলে ফ্যাল, মিটিয়ে নে যত ঝাল
জমা করে রেখেছিস স্কচ-খাওয়া জিভে;
তোই বাড়িকে ঘিরে তুষারের তীব্র আলো
সূর্য ওঠেনি আজ পনেরো দিনের বেশি
তবু তোর মুখশ্রী শীতে আলোকিত কেন?
আসলে অন্যের ওপরে রাগ, উপলক্ষ আমি,
হ্যাঁ, হ্যাঁ, খুলে বল, দাঁতে দাঁত দিয়ে বল
যে ভাবে ইচ্ছে তুই উগরে দে স্টক তোর…
তোকে নিয়ে লিখতে পারব না, এ
নিষেধ
অমান্য করেই তবে পাতছি চোরা শব্দফাঁদ
অবন্তিকা বুনোগন্ধা খুকিবাদী হে প্রেমিকা
এই নে মাটির পোড়ানো আংটি হাঁটু গেড়ে
দিচ্ছি তোর ক্রুদ্ধ আঙুলে, নিবি
বা ফেলে দিবি
তা তোর অ্যাড্রেনালিন বুঝবে অবন্তিকা
আমি তো নাচার যতক্ষণ না যাচ্ছিস
মগজের ছাইগাদা-বিস্মৃতির উড়ো আবডালে।
ওঃ মলয়দা কিভাবে আমি এই আবেশ ধরে রাখবো অসাধারণ।
উত্তরমুছুন