বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়




       বইমেলা মইমেলা  





     
        
বইবইমেলায় প্রথম যাই ১৯৭৬ সালে, যদিও তার আগেই বইমেলা বসেছিল। ১৯৭৪ সালে কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে গুটিকয়েক তরুণ প্রকাশক ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার ঢঙে একটি বইয়ের মেলা করার কথা ভাবলেন, আর প্রবীণদের আপত্তি (‘বই কি কাপড় নাকি, যে তাকে মেলা হবে, বা তার মেলা হবে?’) যথারীতিএতে জল ঢেলে দিলেও ১৯৭৫ সালে পাবলিশার্স অ্যাণ্ড বুকসেলার্স গিল্ড প্রতিষ্ঠিত হলো, আর ৫৬টি স্টল ও ৩৪টি প্রকাশক নিয়ে আফা গ্যালারির উলটো দিকের মাঠে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশে, ১৯৭৬ সালের ৫ই মার্চ গিল্ড বইমেলা বসিয়ে দিলো। উদ্বোধন করলেন যাকে বলে তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ভদ্রলোক হাওড়ায় থাকতেন, আম্মো তখন। আমি একটু দোনোমোনো ক’রে কলেজস্থল কাটোয়া থেকে এসে ঘণ্টাখানেক বা দুয়েক নাকি তিনেক (অত মনে থাকে?) মুক্তকচ্ছ, বিমূর্ত, প্লেটোনিক আত্মার মতো ঘুরে, ফেবার থেকে বেরোন সার্ভান্তেসের ডন কিহ্বোতে-র পূর্ণাঙ্গ ইংরিজি অনুবাদ কিনে (একটাই! অসময়ে বে’ করায় পয়সা ছিলো না।ডন কিহ্বোতে, আগে পড়েছি, কিন্তু ওইটা এখনও পড়া হয়নি! অনুবাদে ক্যান? আমি পি. ভি. নরসিমা রাও নাকি, যে সব সাহিত্যের বই সেই ভাষায় পড়বো, প’ড়ে গান্ধী ফ্যামিলির… যাক্ গে! আমি সুরেন  বাঁড়ুজ্জ্যের জেতের লোক, যাঁকে কবি মনমোহন ঘোষের সামনে মাইকেল ‘কুলিকাবাডি’ বলেছিলেন,  ক্যালইউ তথা আজকের ক.বি. থেকে ইংরিজি সাহিত্যে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া সত্ত্বেও, সব ভাষার সাহিত্য ইংরিজিতে পড়ার জন্যে; আর যাঁদের সম্পক্কে বিদ্যাসাগর আরো খারাপ কথা বলতেন, বলতেই চাঁটগার  ভাষায় ‘আত্তে হারাপ লাগে’)  নিউ জলপাইগুইড়ি প্যাসেঞ্জারে  কাটোয়া ফিরে গেলাম। পরদিন কলেজ ছিল। টিকিট হলো পঞ্চাশ পয়সা। ১৯৭৯ সালে বাঙলা ভাষায় প্রকাশের দ্বিশতবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দবাজার পত্রিকা ১০ই ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রসদনের উল্টো দিকের মাঠে বইয়ের প্রদর্শনী-কাম-মেলা বসালো। তার পরে আশির দশকের প্রথম দিক থেকেই বইমেলা্র গেটগুলো প্রখ্যাত সব বিদেশী আন্তর্জাতিক স্থাপত্যের মডেলে বানানো হ’তে লাগলো (হ্যাঁ দিদির আমলে কলকাতাকে লণ্ডন, বাংলাকে বিশ্ববাংলা, আর ইকো পার্ককে গ্রিসিজিপ্টফ্রাঁসিংল্যাণ্ডভারতমেলানোনবম আশ্চর্য করার আগেই!)। ১৯৮২ সালের বইমেলায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার পরিচালক পিটার উইদার্স এলেন; আর সোনায় সোহাগা, ১৯৮৩ সালে জেনিভাস্থ আন্তর্জাতিক প্রকাশক সমিতির সাধারণ সচিব শ্রীযুত্ কৌট্‌কৌমৌ (Koutcowmow) যাকে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপুস্থিত হলেন। ফলে, অশোক ঘোষ মশায় কলকাতা বইমেলাকে আন্তর্জাতিক শংসায়ন পাইয়ে দিলেন। তার পর থেকে বইমেলা হৈহৈ ক’রে বাড়তে থাকায় রবীন্দ্রসদন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আশেপাশে আর আঁটানো গেল না। ফলে বইমেলা গড়াতে গড়াতে গেল  পার্ক স্ট্রিট আর আউটরাম ঘাটের মধ্যেকার গড়ের মাঠে। নতুন ভেন্যু! একবারই গেছিলাম সেবার। রজনী কোঠারির সম্পাদিত Caste in Indian Politics কিনে ফিরে এলাম।

       ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমলার অনুকরণে কলকাতা বইমেলা ১৯৯১ সাল থেকে একটা ফোক্যাল থিম করা শুরু করলো আসাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা, এমনকি পঃবঙ্গ (‘ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন’-অর্ধ) এই সব রাজ্যের শিল্প (কারখানা অর্থে নয়, কোনোটাতেই বেশি কারখানা ছিলও না, হতোও না), সাহিত্য, সংস্কৃতি সব তুলেটুলে ধ’রে (বাকি রাজ্যগুলো গব্বের ছাদ্দে গেল), ১৯৯৭ সাল থেকে বিদেশকে পাকড়ানো শুরু হলো। ১৯৯৭-এ ফ্রান্স, আটানব্বইয়ে ব্রিটেন, নিরানব্বইয়ে বাংলাদেশ, দু’হাজার ছয়ে স্পেন, সাতে অস্ট্রেলিয়া, আটে আমেরিকা, নয়ে স্কটল্যান্ড, দশে আবার আমেরিকা, এগারোয় মেক্সিকো, আঠারোয় আবার ফ্রান্স, উনিশে গুয়াতেমালা, এই বিশে রাশিয়া। আবার   সাতানব্বইয়ে ফ্রান্স ফোক্যাল থিম হওয়াতেই বোধহয় ফ্রান্সের মমার্তের ঢঙে খোলা আঁকার জায়গা করা হলো। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে অনেক খাওয়ার দোকানও ছিল, আর সেখানে রান্নার ব্যবস্থাও ছিল। বইপ্রেমিকরা খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে ফুঁকছিলেনও বটেই; হয়তো জলও লেস্‌ড ছিল। ফলে, জানা নেই কেন, বইমেলা দাউদাউ পুড়ে গেলো, যদিও তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী, বাংলায় এমএ, সাহিত্যিক, বুদ্ধদেব  ভট্টাচার্য তিনদিনের মধ্যে ফিনিক্স পাখির মতো বইমেলাকে আবার খাড়া করে দিলেন (নরনোক ঠিকমতোই ভুলে গেছে। বাসব বসাক ছাড়া)। আমি জলে ভেজা Eric Bronner সম্পাদিত Twentieth Century Political Theory জলের দরেই কিনলাম। বইমেলায় আমার প্রথম ফায়দা! নইলে সারা বছর কলেজ স্ট্রিটে কুড়ি পারসেণ্ট পাওয়া, বিদেশি পাবলিশার্সের নিজেদের হাউসে তেত্রিশ পারসেণ্ট পাওয়া, বই সাপ্পলায়ারের কাছে ধারে পঁচিশ পারসেণ্ট পাওয়া মাল দশ পারসেণ্টে বইমেলায় বই কিনবে?

       তো, ২০০৬ সালে স্পেনকে ফোক্যাল থিম ক’রে বইমেলা শেষবারের মতো গড়ের মাঠে হলো। তার পরেই পরিবেশবাদী সুভাষ দত্ত বইমেলাকে গড়ের মাঠ থেকে বাদ্যি বাজিয়ে উৎখাত করে দিলেন। গিল্ডের আড়া কাজ বাড়া হলো। গড়ের মাঠে আদ্ধেক তৈরি কাঠামো ভেঙে দিয়ে বইমেলাকে ২০০৭ সালে ক্যাঙ্গারুর মতো লাফিয়ে আসতে হলো সল্টলেক স্টেডিয়ামে। ময়দানের তেইশ একরের জায়গায় স্টেডিয়ামের দশ একরে গাদাগাদি ক’রে। একে অল্প জায়গা। তায় অস্ট্রেলিয়া ফোক্যাল থিম! একেবারে কেরাসিন জ্যাম! ২০০৮ সালে বইমেলা হবার কথা পার্ক সার্কাস ময়দানে হবার কথা! ফোক্যাল থিম আমেরিকা। তার সাতষট্টি জন ডেলিগেট উপুস্থিত। কিন্তু আবার পিল গিলতে হলো বইমেলাকে। ফলে গিল্ডের অধিকাংশ সদস্য তেত্রিশ নম্বর বইমেলাকে একবছর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। এমনটা হয়েই থাকে। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ অলিম্পিকই তো হয়নি (হয়েছে কি? মনে থাকে না আজকাল, বা বর্তমান বা আনন্দবাজার যাই বলুন! যুগান্তর বা অমৃত তো আর নেই এই দেশ-এ, বলুন!)।

      সে যাই হোক! শক্তির ভাষায় বইমেলা তখন ‘কলকাতার প্রকৃতির অশ্লীল তদন্তে চমৎকার,/ পোঁদের জ্বালায় হু-হু করতে করতে দিক্ বিদিক হারা’। এই কবিতাটা অবশ্য বইমেলায় বেরোয়নি। বেরিয়েছিল মুক্তমেলায়, প্রকাশ কর্মকারের ছবির সঙ্গে। দেহেন, আমি পলিটিক্যাল সায়েন্সের মাস্টার, এইসব লিখতাসি। কার কর্ম কে করে, কে করায়, কালিই জানে, ছাপার কালি  নয়, গডেস ভেকেণ্ট, নবদ্বীপ হালদার উবাচ। লোকজনও ভাবছে, বইমেলা উঠলো, কলকাতার কী হবে? বিভ্রান্ত হয়ে লোক শক্তির কবিতাই আউড়ে যাচ্ছে —‘তবে নাকি কলকাতায় নিরঙ্কুশ প্রাণিহত্যা হবে?/ শিল্প হবে? তেজারতি কারবার খাওয়াবে ভিখিরিরে?/ মাঙ্গল্য বিদেশ থেকে আনা হবে, হে শিক্ষানবিশ/ ন্যূনতম টেলিফোন পোঁতা হবে পাহাড়ের শিরে-!’ (কী খেয়ে যে লিখতে গুরু! আম্মো তো খাই! কিন্তু মাল তো বেরোয় না! ইন্সিডেন্ট্যালি, মাঙ্গল্য কী হে, মাঙ্গলিক নাকি? উইন্ডোজ দীর্ঘ ঈ দিলেই ঝামেলা করে! যাক, মাঙ্গলিক সে তো মুন্নাভাই এমবিবিএস-এ আছে, বাইরে একমাত্র বচ্চনজীর পুত্রবধূর! তাও বে’ দিয়েছে ছেলের সঙ্গে! হেব্বি পগতিশীল! কিন্তু ছেলের ছবি করা তো ঘেঁটে ঘ! বইমেলায় যাবে এইবার?)।

        কিন্তু আসল কথায় আসি। বইমেলা না হ’লে কলকাতার কিচ্ছু ছেঁড়া যেত না। কলকাতায় কলেজ স্ট্রিট আছে, যার বাস শিবের ত্রিশূলের উপরে (তৌসিফের ছবিতে আছে তো ত্রিশূল? নইলে বিপদ!)। কিন্তু তার পর থেকে বইমেলা তেত্রিশ নম্বর মানে ২০০৯ সাল থেকে মিলন মেলায়! তখন আমি কাটোয়া, কলেজ থেকে লেখালেখির সূত্রে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ২০১০ সালে পেসমেকার লাগানোর পরেও মেয়ে গাড়ি কিনে দিলেও, আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাস থেকে সল্ট লেকের আড়িতে (বাড়িতে লিখিনি) ‘আসা যাওয়ার পথের ধারে’ পড়লেও, কেবল পার্কিং-এর সমস্যার কারণে নামতে পারি না। গাড়ি ছাড়া যাওয়াই যায়। কিন্তু গিয়ে আসার সময় ছোট (AS-1) বাসে ওঠা যায় না! সে কারণে বেশি যাইনি। একবারই দেখতে গেছিলাম ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে বেরোন রবীন্দ্রনাথের উপরে লেখা আমার তেইশ জোয়ান গাব্দা বইকে ওদের স্টলে সেজেগুজে কেমন   দেখাচ্ছে দেখতে। ২০১৪-তেও গেলাম মনোহর বুক্স থেকে বেরোন আমার ২০১৩ সালেই রুশ ওরিয়েণ্টালিজম-এর উপরে গাব্দা বাইশ জোয়ান বই কেমন দেখাচ্ছে ওদের স্টলে সেজেগুজে, দেখতে। স্বার্থপর বলবেন তো? কিন্তু বই বইমেলায় বা অন্যত্র রিলিজ করাইনি, প্রচার করিনি ফেবুতে। একটু দেখতে চাইবো না, নিজের সন্তানকে বিশ্বলোকের মধ্যে?

       ইতিমধ্যে কালিমাটির কাজলবাবু তাঁর কাজলচোখে আমায় মেয়ের সূত্রে চিনে নিয়েছেন, আর ঐহিকের তমালবাবুও ওই ভূমিকালিপি পূর্ববৎ। ফলে বোধহয় ২০১৬ তে একবার গিয়ে পড়েছি, দেখে তমালবাবু মঞ্চে উঠিয়ে নিয়ে বক্তৃতা দিইয়ে নিলেন। অতি ভদ্র লোক, সজ্জন, কৌরবের প্রতিষ্ঠাতা কবি, গদ্যকার,  ভালোপাহাড় নির্মাতাশ্রী বারীন ঘোষাল বিস্মিত হ’লেও কিচ্ছু বললেন না, মনে আছে (অভ্রয় টাইপ করতে গিয়ে নিচে সবুজ লাইন এলে আর টাইপ করবেন না, আগেরক্ষর পরেরক্ষর জুড়ে যাবে)। এক প্রবাসিনী তমালবাবুর কথায় গ্যাস খেয়ে গিয়ে আমাকে কৌরবের স্টলে নিয়ে গিয়ে নিজের দুটি কবিতার বই  উপহার দিয়ে দিলেন। কী ভালো ভালো কবিতা! মনে আছে। পরের বছরই আমাদের অনেককে কাঁদিয়ে বারীনবাবু চলে গেলেন। 

তবু ‘মন চাঙ্গা তো কেঠোয় গঙ্গা’ এই আপ্তবাক্য প্রমাণ ক’রে বইমেলা গত তিন বছর ধ’রে, ২০১৮ সাল থেকে বাড়ির কাছে উঠে এসেছে। সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কে। ২০১৮-য় গেলাম, কারণ Sage Publishers-এর জন্যে একটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কটকটে বই লিখছি ছয় বছর ধ’রে। Sage-এর ডাইরেক্টর পাবলিশিং আর্‌তি ডেভিড, আর কমিশনিং এডিটর টেক্সবুক অমিত কুমার ডাকলেন দেখা করতে। এই বছরই বেরোবে। আর ছাত্র কেশব মণ্ডলের বই রিলিজ হলো। তাতে বলতে গেলাম। ২০১৯-এ  ঐহিকের তমালবাবু (তমাল রায়, ইতিমধ্যে তমাল হয়ে গেছেন) ডেকে পাঠালেন। ওদের পুরস্কারপ্রাপ্তদের পুরস্কার টুরস্কার হাতে তুলে দিলাম। মাননীয় সৌরীন ভট্টাচার্য বারীনবাবুর মতোই অবাক হয়ে তাকালেন। কিচ্ছুটি প্রকাশ করেন নি অবাকভাব। আর ২০২০-তে মেয়ে ‘বহতার ঠুং শব্দ হলেই কবিতা’ নামের বই বেরোল। ঐহিক থেকে। নাতির সেথো হিসেবে যেতে হ’লো কবার। আর একবার তো ঐহিকের কাছ থেকে সম্বর্ধনা নিতে। তাতে আবার বললেন কাজলবাবু! কী কাণ্ড। সবাই বেশ অবাকই হলো। চোখ ভর্তি কেন? কিন্তু মুখে কেউ কিচ্ছুটি বললো না; সজ্জন!

 কিন্তু থাকলাম লিটল ম্যাগ প্যাভিলিয়নেই বেশি। ওর কাছেই অনেক খাবার দোকান। আর সেখানে তেপান্তর নামের একটি দোকানে ফিশফ্রাই, ব্যাম্বু বিরিয়ানি থেকে গুগলীর কাবাব অবধি পাওয়া যায়। দূরে পরিযায়ী রাজহাঁসের মতো বড়বড় সাদা তাঁবুর মধ্যে অজস্র স্বদেশী, আর বিদেশী দোকানে যাই নি। কলেজ স্ট্রিট, ফ্লিপকার্ট, আমাজন, কিন্ড্ল, এই সবেই দিব্যি চলে যাবে। শুনছি পরের বছর থেকেই বইমেলা আবার মিলন মেলায়। আর কত ঘুরবি গুরু, রামনাথ বিশ্বাসের মতো? নখের নিচে ডুডুপোকা ঢুকে যাবে যে!

 আচ্ছা এই যেটা পড়লেন, মুক্তগদ্য কি একেই বলে? জানি, না হলেও কিছু আসে যাবে না। কাজলবাবু ছাড়া আমার লেখা কেউ পড়েন না। সেটাই ভালো।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন