রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯

অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়




ঘরে ফেরার গান

পদ্য লিখতে পারি,
শিরশিরে কার্তিক মাসে,
দু’চোখ ভরিয়ে,
দু'চারখানা খাতায়,
তবুও যে বলা বাকি থেকে যাবে,
না বলা অজস্র সুর,
অজস্র স্বরেদের হিসেব,
নতুন জলে গাছের পাতায়,
দোল দিয়ে যাওয়া,
ফিঙে বুলবুলি বসন্তবৌরীর দল,
আসলে, ভালো লাগাটা যে প্রকৃতির মতোই সহজ,
আঙুলে আঙুল পড়ে,
চোখের উপরে চোখ,
খুশি হয়ে উঠতে চাই,
বড়বড় ঘাস বেয়ে,
হেঁটে গেছি,
ছায়াপথ শেষ হয়ে,
বহুদূরে - শহরের দিকে

হেমন্তকাল

তুমি ঘিরে থেকো আমায়,
আমার শহর, যেন রঙচঙে মশারির মতো,
একেকটা আলো পড়ে,
প্রিজমের কাচ বেয়ে,
ছবি হয়, রামধনু যেন,
তুমি পাশে থেকো,
বড় বড় ঘাস হয়ে,
ময়দানে বেড়ে উঠি,
হাওয়াতে মাথা দোলাই,
মরসুমী ফুলেদের মতো,
ছাদছোঁয়া বাড়িগুলো,
দিনে দিনে বেড়ে ওঠে,
কাশ্মীরি শালওয়ালা, আনমনে হেঁটে গেছে,
পায়ে পায়ে দাগ রেখে গেছে,
এ’শহরে এখন শীত,
নদীগুলি ঝরে পড়ে,
জানালায় কুয়াশারা বেড়ে ওঠে,
ঘাস হয়ে ঝাপসাটি, রেখা রেখা এঁকে গেছি,
সিল্যুয়েটে কবিতার মতো

সোনারং

এ যেন বসন্তরোদ,
ছন্দের আবাহনে,
ফিঙে পাখি দুলে ওঠে,
টুংটাং মরীচিকা যেন,
পথ হাঁটি, হেঁটে যাবে ?
দূর দূর রাস্তাতে,
অচেনা দোকানপাট,
বেলোয়ারি ঝাড়বাতি,
এ্যান্টিক খেলেনার সারি,
যেখানে পথের পাশে,
বেহালার ছড়ি ঘষে,
টুপি পরা কোনো কবি,
রোজ রাতে গান গায়,
সুর দেয় নিজেদের মতো,
ছবিটুকু এঁকে রাখি,
পথটুকু চলে গেছে,
ভোর হবে রুখাশুখা পাতাদের, শব্দের সাথে সাথে,
ভোর হবে,
কুয়াশারা কেটে যাবে,
তাপ হবে, ছোটো ছোটো রোদ-পাখি,
পাশে পাশে হেঁটে যাবে,
কাগজের ফুলকারি যত,
ওরিগ্যামি বলে তাকে,
যেখানে দেখার শেষ,
যেখানে মিশেছে নদী,
দূর বাঁকে, নুড়িদের ফাঁকে,
ভাঁজ পড়ে, কাগজের প্রতি পিঠে,
গড়েপিটে গড়ে চলি,
বসন্ত রোদ্দুরে, সোনা রং সাপেদের মতো

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন