রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯

অভিজিৎ দাসকর্মকার




ভেগার ট্রন্সপারেন্ট সোহাগে ৎ আর ১


সবুজ জলের গায়ে ট্রান্সপারেন্ট
অনন্ত শয্যা_
নপুংসক শ্যাওলা জুন মাসের পাতা উল্টায়।
স্নানযাত্রা সারল অপরাজিতা ফুলটি, নীল__
এদিন ত্রিতাল বেজেছিলো।
আমার আলনা থেকে চাঁদের ছায়া ভাঁজ খুলে পড়েছিলো অক্ষরবৃত্তে...


যে স্বচ্ছ কাচটি সোহাগী ভেবেছিল জলপ্রপাতকে
গণ-প্রজাপতিরা দেহকোষে অবরোহণ করেছে।
জানালার সিক আর মালকোষী তারা-আলো ইলাস্ট্রেট করেছে জলরঙের দুরন্তপনা--
হাতে ১ কাপ লিকার চা। ভেষজ বাতাস।
 তখনও
রেটিনার নজর ক্যান্টিনেই বসা_
আজ মনের গোচরে অনুসন্ধানও ভিজে যায়

ভগ্নপুরুষ কবিতাটি ওই মেয়েটির নামে লিখলো, ১-লা আগষ্ট

কাগজে শব্দগুলো বিবস্ত্র। ঈশাণ দিকের স্নানঘরে আমাজন নদীটি গড়িয়ে পড়ছে।  এটি ১টি নিতান্তই বর্ণনা।
খালি গায়ের প্রতিবিম্ব দেখেছি। ওই শব্দ আর আয়না সাংকেতিক। হয়তো যৌনতার খোঁজ।
ওখানে সালোয়ার পরা মেয়েটির গনগনে আঁচ। এই লাইনের সব শব্দই কেমন ডাগরডোগর। নিজেকে মহিম ঘোষাল চরিত্রে দেখছি।
পাশে শিবরঞ্জনী রাগ। হাতে টাকিলার সন্ধ্যে।
বাথরুমটাও ফাঁকা। মনে হচ্ছে স্ট্রীপটিজ নাচি।
সন্ধ্যের কবিতায় ওই মেয়েটির নাম লিখবো ক্যাটফিসের গায়ে।
ইস্, এরম বললে রাম আর রাবণ ২জনে পাপ দেবে...


নস্টালজিক

মেয়েটিকে বিশ্লেষণ করা হলো
প্রবল মায়াবাদে।
স্ব-স্নেহের অসম্ভব শব্দ-শবে সম্মোহিত হচ্ছে সামনের নদীটি
এগিয়ে যাওয়া মোড়ে সরেস রিপু-কোষ গুলো শুকতারা হয়ে দাঁড়িয়ে।
শব্দটি বিশ্লেষিত হলো -- রেপড্ নামে
তারই নিঃশব্দ কালো ছায়া-ছবিতে মোম-আলো দেয়া
হলো।
আপাদমস্তক নস্টালজিক
আমার অসুখ, আর
তার অস্তিত্বে এখন ঝুনো-বরফের ভাষা। আমি কিন্তু দেখতে পাচ্ছি না।
বারবার দৃষ্টি এড়িয়ে চলেছে ছায়ারা, এবং
যতদূর দৌড় দেওয়া যায় রাস্তার ওপর ;
টুকরো টুকরো অভিশাপ চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে।
তারই ঠান্ডা বুকের সংগোপনে, আমারই দ্রাব্য সোহাগ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন