শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯

ইন্দ্রাণী সরকার




অজ্ঞাতবাস

রূপ অজ্ঞাতবাস থেকে বেরিয়ে আয়
 
এখনো মধুচন্দ্রিমা শেষ হয় নি?
সমুদ্রের ঢেউ, বালির ঝিনুক 
ভোরের স্নিগ্ধতা, দুপুরের আলস্য,
মায়ের ঘর থেকে মধ্যরাতে লেখা কবিতা 
ফিরিয়ে আন, কবিতামুখর কর এ শ্মশান 
প্রতীক্ষায় সময় বয়ে যায় কোনো কাজ হয় না 
তবু আকাশ পারে স্বপ্ন এঁকে শিথিল হয়ে চলা
একদিন না একদিন ফিরে আসবি তুই প্রভাত ফেরি নিয়ে 
রাতের নির্জনতায় ছুঁয়ে যাব তোর ব্যাথা জর্জরিত কপাল।


অপূর্ব গান 

জলসংকটে ভুগছে ঋতু 
দারুচিনির বনে ঝড় 
একটু আর্দ্রতার প্রয়োজন 

এলাচের গন্ধে ভরা বাতাস 
ভিজে পায়ে সোনা মেয়ে 
বৃষ্টি নামিয়ে আনে মেঠোপথে 

হরীতকীর বনে বাতাসের শব্দ 
তেঁতুলপাতায় জলের ফোঁটা 
শাপলার বনে ভ্রমরের উঁকি 

অর্থহীন কথাগুলো সুর হয়ে 
বৃষ্টির জলে ভেসে ভেসে 
অপূর্ব গান হয়ে ছড়িয়ে পড়ে!


কবন্ধ

পুরাণে মাছের একটি চোখ 
একটিবার ফেরে লক্ষ্যভেদে 
বর্তমান মাছ আকারে সুবিশাল 
কবন্ধ ছেঁড়া ছেতরানো শরীর 
সারে সারে ছুটে আসে তীর 
মাছের সাড়া নেই কবন্ধ সে 

প্রতিবাদহীন মুখর মাছের ভাষা 
মহালয়ার তর্পণে আছে ভক্ষক 
লালশাকে এক কোমর জল 
কথা কেউ কোনোদিন বলে নি 
শুধু নিত্য নবজন্ম পালন হয় 
একটি ভঙ্গুর দিনের প্রতীক্ষায়!


প্রবাসীর শব 

প্রবাসীর শব ছুঁয়ে বসেছিলাম 
কবে তার পরিবার এসে কৃতকর্ম 
পালন করবে তার অপেক্ষায়।

ঘুম ভেঙে উঠে দেখি শব উধাও!
পরিবার এসে নিয়ে গেছে।

তৎপর আমাদের উঠোনে বাঁশি বাজল 
ময়ূর ময়ূরীর দল পেখম মেলে দিল 
আমাদের বাগান ফুলে ফলে শষ্যে ভরে গেল 

আলতো করে আলটুসি পাখির ডানায় স্বপ্ন এঁকে 
প্রভাত ফেরির আয়োজনে নৌকো ভাসালাম।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন