বিন্যস্ত
(১)
এ দেহে আগুন ছিল। কষ্টের কল্পদ্রূম। জ্যোৎস্নায়
ভেসে গেছে কিছুটা। কিছুটা ছল ও ছুতোয় গুটিসুঁটি মেরে থাকে। তোমাকে শোনানো হলো না
গান পঞ্চদশীর কালে। শুধু খরা ও জলোচ্ছাসে ঘরভাঙা-গল্প।
(২)
সুখ গচ্ছিত রেখেছি তোমার কাছে। তুমি আঁজলা খুলে
দিলে কোথায় যা্ই বলো...
(৩)
তুমি শরতের রোদ ; গা খুলে দাঁড়া্ই তবে, তবে কি
পাড়ায়-পাড়ায় ঘাম ও ঘেন্নার গল্প শুরু হবে!
(৪)
বিরহে বিবর্ণ পথ। ময়ুরাক্ষী নদী হ’য়ে কে তবে যায়!
আশার গুঞ্জরণ ব’য়ে কার মন এ্ইমাত্র বাড়ল সামনে।
(৫)
অপেক্ষায় অপেক্ষায় আরেকটি সকাল বিরহী হল।
(৬)
তোমার পায়ের শব্দে রাতের শরীরে কত আনন্দাশ্রূ জমা
হল; তুমি বুঝতেই পারলে না।
(৭)
পুরাতন স্মৃতি যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছি, কৌটো
খুলে দেখি তার উপর দূর্বাঘাস; এবার সরস্বতীকালে পুজোয় বসবো।
(৮)
তুমি শিখিয়েছিলে দ্বিতীয় ভোরে প্রজাপতির নীড়
বাঁধবার কাল, প্রজাপতি গন্ধ মেখে সুতো হাতে সেই তো ঘুরে বেড়াচ্ছি।
(৯)
ইচ্ছে করে তোমাকে জড়িয়ে কিছু আদিচিহ্ন এঁকে দেই,
অলঙ্কার সমেত; তুমি অনাদি কাল থেকে মিশে আছো অনন্ত --স্মৃতি ও স্নেহাতুর চোখের
ভাষায়।
(১০)
পুরাতন কথাগুলো তাড়িয়ে দি। তারা ফিরে-ফিরে আসে,
যেভাবে আমি তোমার নিমিত্তে; তোমার আলোকিত মুখে কত আর চন্দ্রফোঁটা দেবো!
(১১)
আমার বালিশে একটুকরো জ্যোৎস্না ফেলে গেছো ভুলে -- সেদিনই
প্রথম বুঝলাম তুমি চাইলেই পারো আকাশটাকে সুগন্ধি রুমাল বানিয়ে আমার হাতের মুঠোয়
পুরে দিতে!
(১২)
তুমি ভোর কিংবা বিভোর যাই হও তুমি তো এসেছো;
চৈত্রের বাতাস জানিয়ে দিল সে কথা। বিনির্মাণের কঠিন পাথরে মাথা ঠুকে-ঠুকে দেরিতে
হলেও ফুটে আছে কিছু ঘাসফুল।
(১৩)
আমাকে সহজ করে তুমি আর কী দেবে নতুন; তোমার আসলও
তো অনেক আগেই খু্ইয়ে বসেছো। তার চেয়ে এসো
স্মৃতি-মোহনায় রজনীগন্ধার চারা লাগাই; প্রজাপতির বংশবৃদ্ধি হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন