হে আমার অচ্ছুৎ স্বাধীনতা
স্বৈরী পায়ের ছাপ পেরোতে পেরোতে
ও আমার জরতী স্বাধীনতা--
ক্রমশ মরচে পড়ে গেছে গলার স্বরে
দরাজ গলায় ডাকে গো ভাগাড়
বিবেক কোন একদিন হয়তো ছিল সানন্দ
ছিল ভূর্জপত্র হয়ে এক মায়ের খুকী
যেমন জগন্নাথ তীর্থক্ষেত্রে
একপাশে সুতপা বিমলা
সেসব আজ অন্ধ হয়ে পড়ে থাকে
আগামী উদ্বোধনের আমসরে, অলক্ষ্যে
মানুষ কি ভাবে আজ
মানুষ কে আছে আজ
মানুষের কি করে আজ
মানুষ কি আছে আজ
কোথাও কোনো খবর কি পাও
ও আমার চির অচেনা স্বাধীনতা?
কোনো শরীর পড়ে থাকে অর্ধভুক্ত
ছেঁড়া খোঁড়া দেহ পড়ে থাকে ঘন ঝোপে
সুচ ফোটানো রক্ত গড়ায় কোমল যোনি বেয়ে
শিশ্ন কিংবা যোনির ব্যাকরণ না জেনে
তবু আসে মায়াবী পৃথিবীর বুকে শিশু
বোকার মতো চিৎকার করে ওরা
বাঁচতে চায় এই মহতী নীল সাদার বুকে
ছোট্ট ছোট্ট কচি নরম মুখের দেবতা
শুদ্ধ বাতাস না পেয়ে মরে যায়
সত্তরের কোঠায় এসে কেন তুমি এখনও উর্বরা
জন্ম মাঝরাত থেকে পুরুষানুক্রমে
স্নেহহীন নিষ্ঠুর অবিশ্রান্ত রতি
এ কোল থেকে ও কোল...
ও আমার জরতী স্বাধীনতা
কেবল কু সন্তানই যদি তোমার
শুষে নেয় যাবতীয় আলো হাওয়া
তবে, বন্ধ্যা হও এবার...
|
||
শ্রাবণ বনজ্যোৎস্না
রূপটান গলে গলে পড়ছে
বেরিয়ে পড়েছি আমি
এই অন্ধকার জুড়ে
সময় তোমাকে আমি বলে যাই
সুতীক্ষ্ণ ঘন জলের মুকুটে
আমার আধিপত্য বিস্তার,
সাম্রাজ্যবাদ তোমাদের হোক
তবু অনিশ্চিত ভোর নিশ্চিত
তবু এভারেস্টে পঙ্গুর পতাকা
মাথা আউলে দেয় হেলায়
এ জীবনে কিছু পারি বা না পারি
প্রতি মুহূর্ত নিরঙ্কুশ স্বাধীন আমার
সীমানাহীন কুলুঙ্গির দীপান্বিতা
বোধহয় কিছু অদ্ভুতুড়ে চেয়েছিলাম
চেয়েছিলাম তোমার আমার মধ্যে
সগৌরবে বসত করুক অমিল পয়ার
তোমার আমার ঘরবাড়ি হোক
কিন্তু গর্বিত কোনো তন্ত্র থাকবে না
আহার নিদ্রা মৈথুনের মোনো রেল থেকে
হুট করে নেমে গিয়ে ছুটে পালিয়ে যাবো চলো
ফুল ফুটুক একটা দুটো তা থেকে ফল হোক
যথা সাধ্য কয়জন মানুষ প্রসাদ পাক শান্তি
সন্ততিরা সময় হলে পাখি উড়ে বেড়াতে যাক
ঘুরে আসুক সারা পৃথিবীর গাছ কুটুমবাড়ি
আসলে এইসব অদ্ভুতুড়ে চাওয়াগুলো আমার
গুমঘরে কীভাবে যেন কখন চালান হয়ে গেছে
তুমি তার খোঁজ কখনো পাওনি
আমি তার হদিস তোমায় বলিনি
বিকেল চারপাশে বিছনো উদার অমলতাস
এসবের মধ্যেই আছি মুক্তিযুদ্ধের ঈশ্বরী
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন