একটুকরো ভালবাসা হাতে
শুনশান গভীর রাতে
মাথার উপর সিংহ রাশি আর আকাশগঙ্গা নিয়ে
একলা দাঁড়িয়ে থাকি।
ভূতুড়ে জোছনা মেখে দাঁড়িয়ে থাকে
উঠোনের নারকেল গাছটা
শিউলি ফুলগুলো আবছা মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে দেয়।
দূর থেকে ভেসে আসে আজানের সুর
মায়াবি ছায়া মাখা পৃথিবীর মাটিতে
একলা দাঁড়িয়ে শুধু তারা খসা দেখি।
মহাকাশের নিচে একবুক অভিমান নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
নিকষ কালো অন্ধকারে
ডুবে
আমার জমানো অভিমান
বাষ্পের মত উড়তে থাকে
মেঘ থেকে চাঁদে, চাঁদ থেকে তারায়,
তারা থেকে আকাশ-গঙ্গায়।
আমার পার্থিব অস্তিত্ব
মিশে যায় পরাবাস্তবতায়।
অন্য তারার প্রাণ,অজানা পাখির গান,
অচেনা সুরের তানে ভরে ওঠে মন।
সেই গানে, সেই তানে
হারিয়ে যায় আমার আমিত্ব।
নিজেকে হারিয়ে শুধু
একটুকরো ভালবাসা হাতে
দাঁড়িয়ে থাকি তারাভরা আকাশের নিচে।
বেশ তো আছি, ভালই আছি
এই তো সেদিন মনের মধ্যে উঠল জমে মেঘের পাহাড়
তারপর ভাই মন খারাপের সে কি ভীষণ জমল ধুলো
অনেকটা রাত জাগার পরও জাগতে হত সমস্ত দিন
এক নিমেষও ঘুম ছিল না, শুধুই ছিল কান্নাকাটি।
অন্ধকূপে বন্দী হয়ে সে কি ভীষণ গুমরে মরা
দিনগুলো সব দিন ছিল না কাটছিল না একটা দিনও
নদী পাহাড় সাগর ঘুরে, ঘুরতে ঘুরতে হন্যে হয়ে
ছিন্ন সুতো ঘুড়ির মত উড়ছি শুধু হাওয়ার টানে
আপন বলে কেউ ছিল না একলা আমি একলা আমি
বন্ধ ঘরে আগুন জ্বলে দাউ দাউ দাউ তবুও সেদিন
ঠাঁই দাঁড়িয়ে খুব পুড়েছি। বৃষ্টি একটু বৃষ্টি চেয়ে
যেই গিয়েছি, বন্ধুরা সব লেজ গুটিয়ে
দে ছুট দিল ।
বনের মধ্যে তখন আমি পথ হারিয়ে কাঁদছি তো খুব
এমন সময় একটা ঋষি আমার কানে মন্ত্র দিল।
সেই মন্ত্রটা পড়তে পড়তে, সেই
মন্ত্রটা জপতে জপতে
এখন আমি পূর্ণ থেকে পূর্ণ তুলে বেশ তো আছি।
ঈশা বাস্যমিদং সর্বম্, মধু বাতা ঋতায়তে
তৎ সবিতুর্বরেন্যম- বেশ তো আছি, ভালই
আছি।
বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা
দুটি সমান্তরাল সরলরেখা
অসীমে মিলিত হবে-
এই সত্য ধরে আমরা চলিনি।
বরং দুজন দুদিক থেকে এসে
হঠাৎ মিলেছিলাম একটা বিন্দুতে।
তখন ব্যাসার্ধ-ব্যাস কিছুই ছিল না আমাদের।
সব দিক দিয়ে পারফেক্ট বিন্দু ছিল সেটা।
কিন্তু তারপর তুমি চলতে শুরু করলে
একদম অন্য দিকে।
আমি আজীবন চেষ্টা করেও পেরতে পারিনি
সেই বিন্দুর অন্ধকূপ,
আমি আজও সেই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছি
শুধু তুমি ফিরবে বলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন