জলপ্রপাত
লাল
লাল পলাশ ছুঁয়েই
চান্দেল
রাজাদের কীর্তি খাজুরাহোর শিল্পকলা
নীল আবেশে –––
ধু-ধু
মাঠ লাল মাটি বর্ণময় সহবাস
থৈ
থৈ জল ট্রেন থামছে নাম-না-জানা আকাশ।
গভীর
রাত
সেগুনকাঠের
ফলক উৎকীর্ণ হরপ্পা মহেঞ্জোদারো
জলপ্রপাত
ঘন জঙ্গল দ্বিধাহীন শর্তে –––
জাপটে
ধরে চাঁদের আলো
পাখায়
পাখসাট পক্ষিরাজ আদিগন্ত
স্বেদবিন্দু
সংবেদী
তরুণটি যখন তরুণীটির কথা রাখলো
তখন
গোধূলির আলো ঠিকরে পড়ল কপালে চোখেমুখে
স্বেদবিন্দু
বিন্দু-বিন্দু অপূর্ণতা পূরণ।
বাস-স্টপেজে
গ্রীষ্ম দুপুর শুনশান আঁকিবুকি
প্রদক্ষিণরত
গ্রহ জ্বলজ্বল নক্ষত্র ভালোবেসে।
কেমো-থেরাপির
আমন্ত্রণে হাসপাতাল-চত্বর ঘোরাঘুরি
ক্লান্ত-শ্রান্ত
মাধবীলতা গুন গুন ভ্রমর-গুঞ্জন
আলিঙ্গনরত
ধ্যানমগ্ন আকাশ সংরাগে –––
দোলনা
জংলি
ঘাস প্রথম স্পর্শ চিঠির পাহাড় বন্যতা
‘কেমন
আছো’ ––– বৃষ্টিতে খুব ভিজলাম জীবনভর
মেঘলাদিনে
কাছাকাছি হৈ চৈ।
সুখ-দুঃখ
ভেসে ভেসে ছোঁয় কাঠের পাটাতন
চোখ
ভাসালো খান্ডবানল-দহন উপকথা।
মোমবাতি
আলোয় রচিত প্রেমগাথা
অস্তগামী সূর্য তরল-বনাঞ্চল।
স্মৃতিকথন
দোলনার দোলনা
বুক ফেটে যায় তৃষ্ণায়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন