নিসর্গে শরীর পাওয়া যায় না
কৃষ্ণচূড়া গাছে ঠেস দেওয়া মানুষটিকে দেখতে পাইনা আর
এসবের ব্যাখ্যা সত্যিই জানা নেই আমার
সেভাবে লেখা চলে মগজের ভিতর জমে থাকা রক্ত নালির
অথবা গভীর জলের ফাঁকে জেগে ওঠে ঘুমের নেশা
সেই নিসর্গে শরীর পাওয়া যায় না
হয়ত কোনো স্নানের জলে মিশে আছে তার ছায়া
সে কবিতা মুখোমুখি; মৌনতা।
গোধূলির থেকে ঈশ্বরীর সাথে ছুঁয়ে দিতে অসীমের সীমা
দিশাহারা জল, শাপলা শালুক আর গান কলি
খোঁজের মাঝে থাকে না কেউ
এভাবেই একটা গল্পের কোনো উত্তর থাকেনা
নিঃরক্ত বিছানাপত্র ক্ষয়ে যায় নিঃস্ব শব্দের পাটাতনে
নতজানু সব দুঃখ কষ্টের তাপে
আজ শিশির ঝরুক
বাঁকের দৃশ্যগুলি নিয়েই নদীর বাঁকে ফুটতে থাকুক ভাত
জল চায় শূন্যতা
ভীড়ের উড়ান থেকে একটি একটি মুখ ভেসে ওঠে
আজন্মে
সে দুলতে থাকে হাওয়ায়, নিজস্ব রেণু নিয়ে
গর্বিত ধানশিষ
মাথার উপর ঝাঁক ঝাঁক কাক ওড়ে
মেঘ ঠোঁটের গা বরাবর তার
তলপেট; নিখুঁত হাসির দাগ
তারপর মাটি ফাটে জল চায় শূন্যতা
খুঁতখঁতে অমরতা ঝিমোয় খসখসে ত্বকের নিষ্ফলতায়
পড়শিরা গাল পাড়ে, গজগজ করে অসহ্য গরমে-
বাতাসের কাছে বেঁচে আছি কতকাল!
যেহেতু মুখটি দোলে : সে
ফুলই
তার গন্ধে আছে দীঘল নদী প্রস্তাব
মৃত আগাছার সীমা কাটিয়ে আমি বেঁচে থাকব
বিষাদ
তখনও তুমি দোলো হাওয়ায় হাওয়ায়
মৃত্যুর গলা শুকিয়ে যায়
মাথায় বাণ গেঁথে কষ্ট লাঘব করলেন অর্জুন
এই তৃপ্ত অনুভবটুকুর জন্যই গান
গাইলেন রাত্রিরা
যদিও পাশে কোনো নদী নেই
সেই হাপিত্যেশে আবার বাণের আঘাত
মৃত্যুর গলা শুকিয়ে যায়, পাতাল খুঁড়ে আনতেই
হল নদী
থমথমে সর্তকতায় ছোটাছুটি করা শেয়ালের পিঠে তখন গাঢ় কুয়াশা
একটা মহাদেশের লুপ্ত রোদ খাবি খায় ঝকঝকে তলোয়ারের সমারোহে
সেই উৎস, তাকে তো দেখেছ সবাই
পশুর মতো ক্ষীণ পাঁজরে
এদেশ নিয়ে অনেক তত্বকথা আছে, এখনও বেরিয়ে আসছে
গভীর অরণ্য
গালা বারুদ পুড়িয়ে দিচ্ছে পথ
ঘাট মাঠ
তারই মাঝে বাউল গাইছেন একতারায়
আর সূর্যাস্তের সাথে কোন কোন মানুষ পেরিয়ে যাচ্ছেন নীল পাহাড়
সেই শোভা থেকেই বুকে বাজে পিতামহের নিশ্বাস
সামগান থেকে রোদ
বেরিয়ে যায়
বাঁকের ঋষি বৃক্ষের গায়ে কতক গুলো ধাক্কা রেখে দিয়েছি
সেগুলো তার ঠিকানা খুঁজে, খুঁজে নিজস্ব আবাস
চারপাশে সব মাটি রঙের বাতাস স্নিগ্ধতা জড়িয়ে থাকে সবুজে
কোনো উঠোনের সামগান থেকে রোদ বেরিয়ে যায়
আশ্রম নেশায়
সোনাঝুরি পাতায় আকাশ লাগে; আমার ব্যক্তিগত সময়ে
অতিদূর
নতুন নির্মাণ নদীতে ডোবাই ফরসা রঙের তুলি
সেই উঁচু নিচু দুপুরে পা দেবে যায়, যেন নিজেরা ভাসতে চায় না
হেঁটে যায়, অন্ধ কানাই হাতছানি
দেয় তাকে-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন