বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

লাবণ্য শাহিদা




প্রেমিকা


দিব্যি নিলুম ছুঁয়ে শিরা ধমনিকা
পরের জন্মে হব মনের মত প্রেমিকা

আজকে যখন বিস্বাদ ছুঁয়ে বলিস,
তুই বরঞ্চ বাচ্চামোটা ছাড়িস!
তখন চোখটা ভাসাই স্রোতে
জানতে পারিস কি তা কোনো মতে?
নতুন মানুষ বোঝে কি ভালো?
ছিলাম যখন তোর আবেশে কালো
বৃষ্টি ছিল মফঃস্বলের রেলে
ছুট লাগাতাম সেই হুল্লোড় বেগে
অভিযোগের সাতটি প্রহর শেষে 
পাহাড় ভাঙ্গে গর্জন আর মেঘেতে
আচ্ছা বলি,
এখনো কি রেগে করিস তান্ডব?
ধৈর্য নিতুম চোখটি বেয়ে 
এমন কেন তুই অর্ণব!
আজো যখন মাথা ব্যথা ঝাঁপালে
কেউ এসে কি হাতটা রাখে কপালে
অট্টহাসি দিতুম সকাল দুপুর সাঁঝে
তুই বলতিস, থাম প্লিজ, এসব কি সাজে!
জানিস, আজ অনেকদিন কেটে গেছে
হাসি যেন আমায় ছেড়ে গেছে!
এখন আর দেখা হয়না আমাদের
পাংশুমেঘ আর একশ বৃষ্টি আকাশ
তুই ছিলিস আমার বেঁচে থাকার প্রকাশ
কেন যেন ছেড়ে গেলি চলে
চোখটা ভাসে রাতটা ভরে এলে
একটু এসে দেখ
বাচ্চামিটা গেছে ছেড়ে
নতুন নতুন রেশ
এখন কাঁদি এক সমুদ্র চোখে
নতুন ভোরের আলোর মিছিল দেখে

সত্যি বলছি দেখিস
দিব্যি নিলুম ছুঁয়ে শিরা ধমনিকা
পরের জন্মে হব তোর
মনের মত প্রেমিকা


একটা নদীর গল্প ছিল

বয়ান হাতে আবার হাজির
বলছি আমি শুনছে সুধী,
একটা নদীর গল্প নিয়ে

রোজ জোয়ারে আবেগ আসে
টেউএর তালে প্রেম মাখে
দিব্যি জোয়ার চলে গেলে
রোজ কলংক উঁকি মারে

এরপরেতে
চার-পাচঁ জনা
কেমন করে তোলে ফণা,
অমনি ভাটা রাত করে ভোর
সেই ন'জনার চক্ষুশুল

বাবা এলো নয়নভরে
মেয়ে ভাসে আকুল গাঙে
মাঝ দরিয়ায় কুল হারিয়ে
পাশে বসে বলে উঠে
ও মা, তোর জায়গা খুজিস?
ভয় কি তোর?
এরা না হই এক ঘরে কই!
কিন্তু তুই তো আমার 
তা থৈ থৈ

পরান খুলে বাধিস গান
নয়তো করিস নতুন টং
তুই ছিলি এক অবাক বাবার
কথা কইবার চড়ুইখানা
সেই চড়ুইটার এক প্রহরে
পরান গেল ন' জনাতে!

ও মা, যারা তোকে পীড়ন করে
পাষন্ডতার রূপ দেখালো!
আমি তোকে ভাসিয়ে দিলাম 
এক নদীতে মা ভাসালাম

আমার মা তাই আসছে না আজ
আমার মা গেল  ভেসে
তোমার সমাজ তখন বোবা সাজে

ঘরখানি আজ উজাড় হয়ে
পাগলা কানাই বসে থাকে
মা’কে আমার পাহারা দিই  
এ নদীকে বুকে রেখে

একটি দাবী 
চোখে মেয়ে নদী হয়ে
নামের জন্যে কাঁদছে সারা
তাই বলছি,
নদীর নামটি নয়নতারা!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন