বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী



অসাক্ষাৎ  


সোনা ভাঙার ঘূর্ণিতে মিশেছে ছায়াদের গলে যাওয়া
ফসল চিনি না, গাছ অচেনা
শুধু কালো ধোঁয়া পেছনে ফেলে তীর চলেছে হাসি

দেখা দৈবের আশ্বাসে না হলে
মানুষীশাপ বলে, তোমাদের চিরবিচ্ছেদ আসন্ন...
স্পর্ধা!

অথচ মোলাকাতের দিনক্ষণ বাজিয়ে দেখে
পোকামাকড়ের একঘেয়ে বৈঠকি সুর
খবর বুঝি পৌঁছে যায় বিজলীতেজ?

বৃষ্টিচৌচির রোদ লজ্জাকুয়াশা চিলতে
রুমাল বিক্রি আছে হরেক ডিজাইন
বাড়ির দিকে চলে যাওয়ায়, পিঠে লিখে দাও
রুদালিতেজ।


অ্যাসিড টেস্ট 


আর, এসেছি জানিয়ে ফিরে যাবার আগে
ভেজা ছাতা শুকিয়ে যায় ব্যস্ত চত্বরে
গমগম করে আসাযাওয়ার হাঁপ দীর্ঘশ্বাস দৌড়;

তখন আলো আলো অন্ধকারে তোমার পায়চারি
বিশ্বাস করো, শুরুর বিন্দুতে ফিরে যাওয়ার মানে
শুধুই পৃথিবীর শেষ রেলস্টেশন।

চীৎকার করে জানান দিচ্ছিলে অন্ধ হবার যন্ত্রণা
চাইছিলে যে কোনো বিন্দুতে আমার থেমে যাওয়া
ফেরাতে চাওয়া? গতি বেড়ে চলে মৃত্যুমুখে

সূর্য নতুন হলেই ফিরে যেতে হবে অঙ্গীকারে
শামুক হয়ে যাই রাতভর...


দস্যুবৃত্তি 


রোজ জেদ ধরে তোমাকে স্নানে পাঠাই
তোমার স্নানশেষে যাই ওমস্নানে...

মাঝে মাঝে ‘আগে যাবো না’ জেদ ধরো,
বাগানে পায়চারি
বা একটু গান শোনা বাহানা,
সবরকম মেলে ধরো সারসার;

তুমি জানো না,
হালকা বেগুনি সাবানটা তোমাকে মেখে যখন নেশাতুর,
হিংসুটে হই, তোমাকে কেড়ে নিই ওর থেকে!













































কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন