সংখ্যতত্ত্বের চক্রব্যূহে...
(১)
ক্যালকুলেটরে বহু হিসেব-নিকেশের পর
সঠিক সংখ্যাটা উঠে দাঁড়ায়।
আমি তখন অন্ধ,
আকাশ থেকে বজ্রপাত চোখে নেমে এসেছে
হে, ইন্দ্রদেব এই ছিলো মনে...
আমি কিন্তু অ্যান্টিডোট বেঁধে রেখেছিলাম সোনার তাগায়, একটা-একটা করে দশটা
দশ আঙুলের মতো।
না, আঙুল কেটে ইচ্ছা নেই কোনো গুরুদক্ষিণা দেবার
আমি দাতা কর্ণের বংশধর নই...
(২)
স্কেচ পেপারে গ্রহ, নক্ষত্রগুলিকে ভালো করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চোখে বন্ধ্যাত্বের পর্দা
লেন্সে জুম করেই যতটা গহ্বরে প্রবেশ করা যায়।
এত কলঙ্ক, এত বিষাদ...
স্তরের প্রাচীরে জল জমে বরফ।
ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সূত্রটিও ঝিমোচ্ছে,
স্নেহজাত পদার্থের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
মেদ-ঝরাবার জন্য আজকাল
সবাই জিম-এ যায়। কিংবা প্রাণায়ামের সাথে শারীরিক যোগ...
থাইরয়েডের প্রভাব? এক ঢোক জলের সাথে
একটা থাইরোনমই অব্যর্থ...
(৩)
স্মৃতির ক্যাম্প থেকে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখি
গায়ে শীতের কুয়াশা,
ওরা কি শব্দ তুলে আনছে মৃত বইয়ের পাতা থেকে?
এমন বই-এ হাত দিতে ভয় লাগে
পূর্বপুরুষের গন্ধ পাই।
অথচ তর্পণের জল এখনও শুকিয়ে যায় নি,
তবুও আকর্ষ ছড়িয়ে যায়
আমি জড়িয়ে পড়ি।
জালের আঠায় ছটফট করতে করতে
উঠে আসে ডিপ্রেশানের স্তোত্র
শেষে ওম্ কার...
(৪)
সংখ্যাতত্ত্বের ভুলভুলাইয়া ঘিরে ধরেছে পাঁজরের গলায়,
বীজদাগ তুলে নিয়ে গেছে
অভিশপ্ত দাঁড়কাক, বাচ্ছাদের জন্য
পুষ্টির আকালে কাঁপছে মাতা-ধরিত্রী।
এই প্রবল গাণিতিক স্রোত
তার সমাধান সূত্র?
কম্পাস যেভাবে ঘুরে চলেছে আশা দেখি না
থইথই জল-জীবন...
ওদিকে বিদ্যুতের আওয়াজ
বিভক্ত করছে দু-ভাগে, তার সাথে বিষাক্ত তূণীরের উপস্থিতি।
একটা প্রতিষেধকে এতগুলি অশ্বারোহীকে দমন... গুরুই পারেন।
একবার পৃথিবীতে আসবেন আর্যভট্ট
আমি গুরুদক্ষিণা সযত্নে তুলে রেখেছি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন