বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

বেবী সাউ



শোক 


অসংখ্য অক্ষরমালা

তোমার হত্যার কাছে
নত হওয়ার তালিম নিচ্ছে

ঝড় 


নিজেকে গুছিয়ে তোলাটাও
যে একটা প্রয়োজনীয় নথি

এ কোলাহল তোমাকে
বুঝতে দেয়নি

সূত্র ভেবে শুধু খোঁজা হচ্ছে আবহাওয়ার দিকনির্দেশ

রোদের মাপন ক্ষেত্র

বর্ষা 


শূন্যে ভেসে যাওয়াটাই
প্রকৃত রহস্য

আশ্রয় এবং গন্তব্য
ভ্রমের সূচক

 শ্রাবণ


যে কোনো ঝড়
আসলে

তোমাকে হত্যার আগের মুহূর্ত

আর জল সেই প্রকৃত ঘাতক
হত্যাচিহ্ন মুছে ফেলে

রুহ 


তাকে পুজো পেতে বলো
ইহ তিষ্ঠ -- তিষ্ঠ ইহ

অথচ, ভেসে যায় ছায়াচরাচর
অথচ, সংসারে বেড়ে ওঠে
যমজ সন্তান

ঘুরেও দেখো না

প্রান্তিক 


সময় তোমাকে ভোলায়
সময়-ই তুলে দেয় পোষা আলখাল্লা

শীতের সকাল ভেবে তাকে
ঝেড়েমুছে রাখো

গুরুচণ্ডালি 


সুপুরুষ ভেবে তাঁকে
তুলে দাও অন্নের প্রসাদ

দেবী ভেবে পুরোহিত,
রোজকার পায়েসের চাল,
নুড়ি-কাঁকরের মাঝে

জিজ্ঞসা বসায়

সফর


সমস্ত গন্তব্য জানে
কীভাবে মুছে ফেলতে হয়
রহস্য

রোমাঞ্চের দাগ

ভঙ্গিমা 


সমস্ত ঘাতক বোঝে
ইশারাতে
কীভাবে ঝলসে ওঠে
ছুরি

রক্তের আশ্চর্য দাগ

তাকে তুমি বিবাহিত ভাবো

গ্রাস 


বিধিতে তাড়িত হয়ে
দানাপানি লোভ

বশ্যতা-শিকার করো
নদী তাকে ভাসাবে যে আজ

ট্রিগার 


লক্ষ্য স্থির হলে
জেনো

আঙুলের চাপে

চোখ ঝাপসা হয়ে যায়

সভ্যতা 


প্রতিটি নদীর তীর
বোঝে

কৃষিখেত আর

শ্মশানের প্রয়োজনীয়তা

কৃতী


একদিন যেসব গাছেদের তুমি
তুলোধনা দিয়েছিল

তারা আজ আলো হয়ে জ্বলে

ভাতের অভাব ঘোচে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন