সুতোর চিবুক ছোঁয়া সন্তান
বিছানার ব্যাকুলতায় হাত নেই,
পা আছে
তুমি ছিলে সেই বেপরোয়া সুতোর চিবুক ছোঁয়া সন্তান
আর ঘরের মাল্টিপ্লিকেশনের এক ধাপ
তোমাকে অপরিচিতি দিচ্ছিল না
তাহলে এখন
এই মুহূর্তে এসো
প্রচ্ছদবিশিষ্ট এইটুকু জাবনা কেটে চিনে নিই
বাঁশভেজানোর পুকুর
ত্রিমাত্রিক দীর্ঘশ্বাস তফাতে ফেলে
এক এক্কে দুইয়ের নির্ধারন সম্পর্কিত হয়
এই সবকিছুকে পরম যত্নে চুমুক দিয়ে
একটা জীবন কেল্লাফতে করছিলাম
আর গৃহীমানুষের আরশিনগররের ঠিকানাও জানতেন না
কমলা দাস
আমাদের পুনর্জন্মের জন্য
করাতের ধার চিনে একটা মুহূর্ত বেছে নিতে
প্রথম ভালোবাসার কথা বলি না
একটু আগেই স্বচ্ছ স্মৃতির দরজা থেকে
পাখি উড়ে গেল
নীল খোলচের ডেরায়
আবেগকেন্দ্রিক মশলাপাতি
রোদজলের এই কম্বিনেশনে
সাম্পান হয়ে মুফতে আসছে সান্ধ্যহাওয়া
বৃষ্টির ঠোঁট আজ জলশূন্য
কিংবা মাঝে মাঝে তন্বী অঙ্গের ঝিরিঝিরি মেঘ
ঈশ্বরের ঘুমানোর ন্যূনতম ইচ্ছেতে ফোড়ন দিয়ে
খবরের মেয়েটি পরিবেশন করছে তাঁর জলসত্রের ঠিকানা ও
মৃতদের থমকে যাওয়া নাম্বার
আর আমার পার্ফেক্ট গোলামিগিরির বিরতিতে একবার দেখে নেওয়া
দুঃখমনোহরার নির্বাসিত নির্জনতা
না পাওয়া অবকাশগুলো আজকের দিনে অন্তত আত্মহত্যা করে না
আর আয়নার দরবারেও এপর্যন্ত জমা চাবুকের ন্যাংটো প্রতিশ্রুতি
দপদপ করে না
প্রকৃতপক্ষে আঙুল জড়ানো নিঁখোজ সুস্থতার প্রতি
আমার সহ্যমাত্রা এখন স্যাটেলাইটের কাছাকাছি অবস্থান
গেরস্তের ঘাস চিবানোর কাজে আমি ছিলাম একা
তবু নিজস্ব কোন গোলাঘর আঁকতে চাইছিলাম না
ছোলা-গুড়-বাতাসার বিষয়ে
বরাবরই আমি আবেগকেন্দ্রিক মশলাপাতি রাখি
আবেগের রং চিরকালীন পোড়া ছাই
আয়না প্রতিনিয়ত মুখের দীর্ঘশ্বাস হত্যা করে
সময়কে গর্ভবতী করে তোলে
বিছানা থেকে যে সেতুর মেরামত শুরু হয়
তার আশেপাশে কোথাও রাত নামার আগে
পিঁপড়ের আহার শেষ হল
ঘর থেকে আড়াই চাল করে এগোলে
কিভাবে যেন একটা শহর জলজ হয়ে যায়
আর সান্ধ্যগাছির অন্তরে সমুদ্রস্রোত
নোনা ঢেউ নিয়ে এগিয়ে আসে
রেফারি অতিক্রম করে
যে ট্রেন হুইশেল দিয়ে গঙ্গার ধার ঘেঁষে ছুটে গেল
তার বর্ণ গোনার কথা জানা নেই
কিন্তু আমার ব্যক্তিগত আবেগের রং চিরকালীন
পোড়া ছাই হয়ে যায়
আর বিবর্তন নিয়ে ঘরের আলোপনায়
শেষ বিকেলের কাছে দাঁড়িয়ে থাকি
এমন অন্তর্মুখী যাত্রার জন্য মেঘ করে আসে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন