মেঘে
ঢাকা শীতপুরাণ
(১)
পায়েসের
ওপর থেকে দুধের সর উঠে গিয়ে মেঘের গায়ে বাসা বাঁধে
স্যাঁতস্যাঁতে
শীতপুরাণ।
জানলায়
দাঁড়িয়ে থাকা
বৃষ্টির
শব্দগুলি মাঝেমাঝেই গায়ের ওপর
এসে
বসে। ওমের মধ্যে লালন করা ইচ্ছারা
বরফ
হয়ে যায়
এতো
শীতলতা!
এইসময়
আরও নিজের ভেতর ঢুকে যাওয়া
রেশমকীটের
মত
যাপন-অধ্যায়...
সামান্য
রোদ না দেখলে রাত শেষ হয় না,
লেপের
মধ্যে নক্ষত্র খুঁজি
অন্ধকার
লাগে নখে,
এখন
দাঁত দিয়ে নখ কাটলে
ঝুরো
ঝুরো অন্ধকার আঁতুরঘর
তৈরী
করবে।
ডিপ্রেশান
আসলে
বাস্তু-অসুখের
ডাক নাম...
(২)
আকাশের
গায়ে কালো রং দেখলে
ফিরে
আসে পাখির দল
মেহগিনির
ডালে। ঘরে
আগামীর
শৈশব ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখে একটা অভুক্ত দিনের ছবি,
এখন
দাঁত দিয়ে
নখ
দিয়ে আঁচড়ানো।
মৃত
জোনাকীর ডানায় যদি ফসফরাস জ্বলে ওঠে এইবেলায়
মা
কি আবার খাদ্য সংগ্রহে বেড়োবে!
আহ্লাদী
গাছের কিছু আসে যায় না।প্রাণহীন
আসবাবপত্রের
গায়ে নিজের নাম খোদাই করেই শান্ত হয়ে যায়
স্থাপত্যের
চিত্রণে দাঁড়িয়ে থাকে মৃতবৎ।
স্রোত
বাড়তে থাকে
নিমজল
গহ্বর থেকে মুখে উঠে আসে।
ঠিক
এইভাবে কলমেরও খিদে পায়
মুখে
তুলে দিতে হয় শব্দান্নের ব্যঞ্জণ।
রসদ
প্রয়োজন,
ছোট, ছোট পা ফেলে হেঁটে যায়
শাবক
অন্ধকার
থেকে আলোর দিকে...
পুরাতনীর
পাশে কিছুক্ষণ
কড়িকাঠের
ফাঁক থেকে একটা চড়ুইঠোঁট বৃত্তান্ত শোনায়
মরচে
ধরা শব্দগুলো ছায়াপথের প্রতিনিধি,
শোক, জরায় ঢাকা পড়ে আছে
শ্রূতিকাঘরের
কুলুঙ্গিতে।
মৃত্যুকাল
যখন সাদা থানে জড়িয়ে দেয়
প্রদীপের
পাটাতন,
সলতেরা
ঘুড়ে বেড়ায় প্রাচীন অশ্বত্থের গুহামুখে
তারপর
ঝুল-কালিতে মুখ ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ে,
একটা
পুড়ে যাওয়া সাঁকো জেগে থাকে
শুকনো
নদীর বুকে।
ক্যাকটাসের
হাওয়া জানিয়ে দেয়
প্রাচীন
নক্ষত্রের ফুটে ওঠার কথা,
জীর্ণতার
রোমন্থনে অসুখের হুল শিকড় গাঁথে
বিষণ্নতার
নৌকায়।
তবুও
জল চাই... জল চাই...
ডেকে
ওঠে চাতক,
দু-বিন্দু জলে ঠোঁট ভিজে যায়।
ঘুম
নেমে আসার আগে একটা জোনাক
রেখে
আসি চড়ুইয়ের বাসায়,
কৃতজ্ঞতার
রূপক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন