মায়ের
কানপাশা
মায়ের
কানপাশা কারা নিয়ে গেল স্ট্রেচার করে
মৃত
নিজেই বললো, ওই যে মাঠ
কান্না
ভাঙছিল চোখ
বেসবল
খেলছিল
এইসব
বাঁকা ছবি তুলে রাখে পিস্ট চশমার কাচ।
তুলোর
টুপি
এই
লালচে সকাল ভেঙে বাকিটা তুলোর টুপি
বাকিটা
হাত মোজা ঢাকা পাতা পাতা বুক
এক
মাথা শ্রেষ্ঠ চুল হাওয়ায়
ঠেলা
গাড়িতে কার্ডিগ্যানের যাতায়াত শীত থেকে
শরতের
ব্রিজ অবধি।
কতিপয়
পংক্তি
(১)
আগুন
হাতে ফিরে এসেছি হে অভয়, আমার স্বপ্নাত্মা কি অন্ধ?
আমি
কাঁদছি না তবু আমার পেছনে ধাওয়া করে আসছে বিনাশ।
(২)
আজানুলম্বিত
শোক আয় চুমু খাই
বহু
দানবীয় চুম্বন দেখেছি এখন পার্কচেষ্টারের শতবর্ষী এসাইলাম
ঠান্ডা-জমাট-ধোঁয়া
আয়
শোকের জুতো, কালো রঙ।
(৩)
ধলেশ্বরীর
ঝাঁপ খেলা পূর্বদেশীয় মাছ আমি
পিতলের
চাঁদ দেখে পেরিয়ে এসেছি বহু বর্ষার গান
ডোমেনিকানের
বড়শির টোপ আমার হাংগরের দাঁতে
ছিঁড়ে
বেরিয়ে পড়েছি খোলা নগ্ন কুমারীসমুদ্রে
(৪)
যথেষ্ট
পাখি আছে প্রতিপদের দুই চাঁদের
অভয়ারণ্যের
পরিবেশ ঘৃণা করে
ঘন
পালক বাঁচিয়ে রেখেছি পরবর্তী মাছেদের জন্য
জমিয়ে
রেখেছি বিখ্যাত সার্বভৌম।
(৫)
এক্সক্লুসিভ
অপরচুনিটি
সম্মান
ও স্বাধীনতার শব্দ নয়
বরং
একটা ট্যাটু আঁকা যাক নিতম্বের নাশক-ভাঁজে।
(৬)
সহানুভূতিশীল
হয়ে কেউ বিশেষিত করো না আমাকে
আমি
প্রায়ই অপ্রিয়, কুসজ্জিত আর আমার
নখেরও
আছে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন