বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

তৈমুর খান




অন্ধদের দেশে


দু’ একটা বিকেলের মায়া রোজ ছায়া ফেলে এসে  
ভাবনাগুলি বিশ্রাম নেয়
পিপাসার ঘরে রোজ শূন্য কলসি বাজে
কে নাচবে এখন আর ?
উঠোনে কাকের মেলা অবেলার অন্ন খুঁটে খায়

পার্থিব ধনুকে কে কবে শিকার করেছে পাখি?
সবাই তো ব্যর্থ শিকারি
ভাবনাদের ছায়ায় রেখে নীরব জাবর কাটে

দূরে কোলাহল মাখা অন্ধদের দেশে
ভাবনারা মাঝে মাঝে যেতে চায়
আত্মহত্যা আর বিদ্বেষে ভরা ওদের সংসার
কেন ভালবাসে সবাই অপার্থিব আঁধার!


ভাষাহীন ভাষাগুলি


বর্ণনার দিকে চলে যায় সব কথা
আমি কি বর্ণনাশ্রয়ী?
তবু এবারতা হয় আকাশের মেঘ
বৃষ্টি নেই, বৃষ্টির ধৈবত
ঘন হয় নিঝুম আবেগ

যে জন্মে শূন্যতা শুধু
কলরব কেন তার আগলে রাখে পথ?
নিরালম্ব জীবন পায় স্বপ্নসংকেত
রাত্রি লেখে নতুন সমাজ
কাকলি বিছিয়ে রাখে তার অভিপ্রেত

সূর্যও হেসে ওঠে সুরে
বাঁশি বাজে বর্ণনার নিঝুম দুপুরে
সহ্যতাপে উষ্ণ হয় অনুভূতির পাড়া
দৈবের কল্পস্রোতে হেসে ওঠে কারা?
ভাষাহীন ভাষাগুলি নির্বোধ দিশেহারা


শব্দ জানে


এই শোকতাপ সতত শূন্যতা
শব্দে রাখি, শব্দের ভেতর ঘুমায়
 নিঃশব্দ কাতরতা

একটি যুগের ঢেউ, দিনযাপনের মুহূর্ত
যে ইতিহাস লেখা হয় না
যে ভূগোলে শুধুই দেহবাদ

সব সিঁড়ি এখানেই
খুরে খুরে ওঠা যায়
অথবা ঘুরে ঘুরে নেমে আসা যায়
ফুলে ফসলে ভরা হাসি কান্নার ফুল
শূন্যের ভেতর ফুটে ওঠে ঝরে যায়

আলো আঁধারে হিজিবিজি
চেতনার মাঠে প্রেমের দেবতা নেমে আসে
বিষাদের মালা পরে আসি তার কাছে
শব্দ জানে, শব্দই জানে
কত অভিমান
যা কখনও লেখা হয় না, ছোঁয়া হয় না সমস্ত জীবনে









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন