ফেরারি
(১)
এভাবে
চলে যাওয়া খুব সহজ
ফেরারি
নৌকা...
ঘূর্ণির
চোরা-স্রোতে শব্দের মৃত্যু অথবা ব্ল্যাকহোলে আত্মহত্যা করতে যাওয়া রুগ্ন নক্ষত্র
একই
পথিকের মতো দড়ির ওপর হেঁটে যায়।
পিছু
ডেকো না ঝরাপাতা
ওরা
অন্তর্ধানের পরিব্রাজক।
মাধুকরীর
থালায় স্মৃতির উদ্বায়ী গন্ধ
চোখে
ঝাঁঝ আনে,
প্লাবনের
তীব্রতা কী ভীষণ উড়নচন্ডীর মতো
বোঝে
যমুনার কালোজল।
পথের
ওপর থেকে তুলে আনা কৃষ্ণছাপ এখনও কোন্দরে জীবন্ত।
গ্রহের
স্থির আলোক বিন্দুর মতো
স্নিগ্ধ-মায়া,
মাঝে
মাঝে জ্বালানীর সামগ্রী তুলে আনতে হয় বিশ্বকোষের হৃৎপিন্ড থেকে...
(২)
জন্মতিলের
ইতিহাস বড় করুণ,
পথ
খুঁজে খুঁজে ফিরে আসে
ঠিক
বংশজলের বিন্দু-বিন্দু স্রোত।
'শিবরাত্রীর সলতে'
জামা
টেনে ধরে...
একটি
তিলের গাঢ় অভিশাপে
ঝলসে
যায় নবজন্ম নেওয়া পাখিরা।
দাহের
উত্তাপে কি আর্তনাদ
বৃত্তের
প্রত্যেকটি উত্তেজক
কোণে, আকাশে...
টুপ
করে ঝড়ে পড়ে, মরে যাওয়া ফলের মতো
আশাচঞ্চু...
(৩)
এখনও
একই আছে
গভীরে
বাঁক নেওয়া চাদরের রাস্তা তার নেমপ্লেট।
প্রহরীরা
অপেক্ষায় ঝিমোয়
সুরক্ষিত
আছে সেই ধুলার চরমতম কণাও,
শুধু
পথিক নীরব।
কোনো
সমুদ্রের সমকোণী ভ্রু-যুগল
তুলে
নিয়ে গেলো
জানায়নি
আবহবিদ।
পাগলের
প্রলাপ চতুর্দিকে... বুক ঢিপঢিপ লালবাতির তাকিয়ে থাকা আর যত্নে নেওয়া ছাপের
ইতিকথা।
জানে কেউ?
এখনও
যাওয়া বাকী
পরবর্তী
পাতার অন্ধগলিগুলিতে।
ফিরে
এসো ফেরারি,
শব্দের
শকটে ভ্রমণে যাবো...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন