দা আলটিমেট ট্রুথ অফ লাইফ
হে
সেলুকাস,
কেন
মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা!
যে
বৃক্ষের ছায়ায় ছিলে একদা
সেই
বৃক্ষ একদিন মৃত পৃথিবীকে ছুঁয়ে
স্বপ্ন
এঁকেছিল,
ঈশ্বর
ছাড়া চলতে চলতে
সে
পৌঁছে গেছিল
পৃথিবীর
নরম পাকস্থলীর কাছে,
অবশেষে
সেও ছেড়ে গেছে
পৃথিবীর
ছায়া ঘেরা মৃত্যুর আস্তাবল।
হে
সেলুকাস,
বুনো
গোলাপের বাগান ছেড়ে
এগিয়ে
চল সূর্যের দিকে
এই
পথে সবাইকে চলতে হয়
সব
সুরের তারের মায়া ছিঁড়ে।
শেষবারের মত বেঁচে ওঠো
রাত
আরও গভীর হলে
পৃথিবীর
একাংশে মানুষ জেগে উঠে
পাল্টে
দেবে পশুর সংজ্ঞা
পৃথিবীর
গোলাকার পেটের ভিতর
ঘুমিয়ে
পড়বে ক্ষুধার্ত শহর।
কিছু
ঘরের বিছানায় জেগে থাকা
সদ্য
বিবাহিতরা নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে
এগিয়ে
যাবে মৃত্যুর দিকে।
এরপর
আর কেউ বুঝতে পারবে না
গভীর
রাতের গভীরতা।
রাত
বেড়ে বেড়ে পৃথিবীর একাংশ গ্রাস করলে
জীবনানন্দ
শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে দেখে নেবে
কতটা
পঙ্গুত্ব গ্রাস করেছে জীবন ও আনন্দ।
জীবনানন্দ
তুমি শেষবারের মত বেঁচে ওঠো
আমাদের
দরজায় রেখে যেও
শব্দের
শীতলতায় জীবন আর আনন্দের মেলবন্ধনে
শতাব্দীর
শ্রেষ্ঠ উপহার।
কবিতার কাছে এসো
জীবাণুমুক্ত
হয়ে উঠে
অতীব
নবীনের সভায় এসে দ্যাখো
ঘাসফুল
ছুঁয়ে নেমেছে বসন্ত।
জীবাণুমুক্ত
হয়ে এসো
আরও
একটু কাছে এসো
কবিতার
কাছে এসো
নিয়মের
বাইরে বেরিয়ে দ্যাখো
সংকীর্ণ
গুহার বাইরে সময়ের স্রোতে
ফুলচিহ্ন
আঁকা রাস্তায় মুছে গেছে
পৃথিবীর
সব দৃঢ় দেওয়ালে লেখা
শক্তিমানদের
গাল ও গল্পের কাহিনী।
এস
কবিতার কাছে এসো
আত্মার
জাগরণে ফুটিয়ে তোলো
ভালবাসার
গোলাপ।
শিকড়ের
মত অধোমুখী হয়ে
ভালবাসার
পৃথিবীকে সবুজ করে তোলো
কবিতার
কাননে সমর্পিত হয়ে
নবরূপে
পুষ্পিত হও হে গুণী...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন