মুদ্রাদোষ
হাঘরে
অন্ধকার বাসাভর্তি আলো শুষে নিলো
এরপরে
কোথায় যাব!
এই
হাওয়া প্রতারক এবসন্তে ছারখার করে দেবে গৃহস্থালি এইবার চুপ করে থাকা প্রেমিকের মুখের উপর বলে দেব সমস্ত ভালোবাসাবাসি
শেষ
অনেকদিন দূর থেকে তাকিয়ে দেখেছি..
এই
ঘরে উত্তাল ঢেউ
ফিরে
আসার পথ ধুইয়ে দিয়েছে
আর
চাপা স্বর সিলিং ছুঁয়ে বারবার নেমে এসেছে
বুকের
উপর,
কীভাবে বাঁচব বলো!
এই
শূন্য থেকে শরীর ভর্তি পাপ এলো...
জ্বর
খুসখুসে কাশি
সবই
যেন মুদ্রাদোষ একবার দেখতে চেয়েছিলাম
নেমে
আসা চোখ
নিভুনিভু
ভুল আমাকে ক্লান্ত করে
অক্ষম
অক্ষর বাড়িঘর ফেঁদে স্থায়ী হল.. কোথাও
শান্তি নেই..
অসংখ্য
শ্লেষদাগ বয়েস ছুঁয়েছে
এই একঘেয়ে চরিত্রদোষ কেন
কেন কেন রক্তাক্ত হয় করে!
বহমান
তুমি
যতই ডেকেছ আমার মজ্জার ভিতর
ফোঁপরা
হয়ে এসেছে জীবন
আমি
ঢাকতে চেয়েছি মুখ মাথা ডালপালা
আমার
ফুরিয়ে আসা বালিঘড়ি
দ্যাখো
আকণ্ঠ ডুবে গেছি,
এই
জল, নুন তিলমাত্র আলো আমাকে বলেছে,
“ঘুমিয়ে
থাকো
এই
ছায়াকাল তোমাকে দেবে না কিছুই
সমস্ত
বৃক্ষ শেষ হয়ে যাবে, একদিন প্রেমিকেরা অত্যাচারী হবে...”
কাছে
এলে সব আলো নিভে যায়
তারার
গভীরে বাড়ে ছাই
আমি
নির্লিপ্ত থাকি
এই
অক্ষম অক্ষর... কিছুতেই বোঝাতে পারেনি
আমি
একটু আড়াল চেয়েছি
মৃত্যু
সাদা
মুখোস, উজ্জ্বল আলোর নীচে
তুমি
চুমু খাবে
ধীরে
ধীরে উঠে আসবে কেননা
আমি
জানি পায়ের পাতার দিক থেকে
উঠে
আসা তোমার বিশেষ পছন্দের...
হয়ত
কাল হয়ত পরের দিন, হয়ত
প্রত্যেক
বছর আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিতে চাইব
কেননা
যাই বললেই কি যাওয়া যায় বলো! কেননা
যাই
বলো না কেন
প্রতিটি
মৃত্যুরই একটা ঠাঁঠ ঠমক থাকে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন