অন্ত্যমিল
বুকের
মধ্যে যে সব কান্না বেড়ে উঠেছে নদীর জলের মতো, তাদের মধ্যে কত অন্ধকার ছড়িয়ে আছে কত অমাবস্যার মতোন, তাদের
মধ্যে কত কাঁকড়া বিছে হেঁটে গেছে কত
সাপের মতোন, বুকের মধ্যে যে সব অন্ধকার জমে উঠেছে পাথরের মতো, তাদের
মধ্যে কত দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়েছে কত নষ্ট প্রহরে, তাদের মধ্যে কত বিষাদ হয়েছে জড়ো কত স্তব্ধতায়, সেইসব রহস্য
অমীমাংসিত রয়ে যাবে বহুকাল।
বৃষ্টিগানে
রয়ে যায় কী কোনো
অন্ত্যমিল?
আলোছায়াময় রাত
একটি রাত। তার মায়াবি আলোয় তোলে যে সুরের সোনালি ঝঙ্কার, অথবা বুনে যায় যে
খয়েরী কবিতা, সেইখানে সেই অক্ষরবুনন সেই
ঝঙ্কার থেকে ভরে ওঠে আকাশ।
উড়ে যায় পাখি।
ভিজে যায় অবসাদ।
তখন আলোছায়াময় সেই রাত ঠিক চিনে নেওয়া যায় রহস্যে ও সংকেতে।
নীলাভ নদী
আর মায়া-স্বপ্নে
ভাসছে রাত...
আর মায়া-স্বপ্নে
ভাসছে রাত...
বিকল্প
শাদা কাগজ ও কালো অক্ষরে
বিকল্পের কথা ভাবি। নদীর বিকল্প। আকাশের বিকল্প। কেঁপে-ওঠা পাঁজরের। হিমঘরে শূন্যতার নীচে নেমে যেতে
যেতে ভাবি হেডলাইট চুরমার করা শীতার্ত রাতের বিকল্প।
শাদা কাগজ ও কালো অক্ষরে বিকল্পের কথা ভাবি। বসন্তের বিকল্প। কৃষ্ণচূড়ার বিকল্প। কান্না-ভেজা বিরহের।
চিত্রকল্পে
রয়ে গেছে কি কোনো
স্বরবর্ণ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন