অকাল-বৈধব্য, এবং...
(১)
জীবন যদি সেলামীতেই থেমে যায়
পাক ঘুরে এসে মুদ্রায় অভিবাদন...
কেউ স্টপ বসিয়ে দেয়।
কালো চাঁদ-
জ্যোৎস্না ছড়ায় না।
কলম থেকে কালো কালি পড়ে লেখাটা নষ্ট-
ডিলিট করে দাও অধ্যায়...
এখন গভীর রাত
শকুনের ডাক কর্ণকুঠীতে বান ডাকে।
দু-হাতে চেপে ধরলেও,
শরীরের সমস্ত রস শুকিয়ে
ছিবড়ে পাতাটা ভেসে যায়।
হয়তো ড্রেনের কালো জলেই
আশ্রয় নেবে।
আবার মুখ দেখবে? নতুন করে প্রকাশিত হবে কোনো আপডেট...
(২)
ভোরের লাল কুসুম সূর্য
আকাশের সিঁথিতে চওড়া করে
সিঁদুর দেয়।
প্রথম প্রহরেই যদি ঘন্টা বেজে যায়...
সাদা ফ্যাটফ্যাটে মাঠে দাঁড়িয়ে
বুকটা মুচড়ে ওঠে,
আহা - স্বপ্ন সবে জন্ম নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে
দংশনের কালো কামড়
নড়বড়ে কচি ডালটায় ঝাঁপিয়ে পড়লো!
অক্সিজেন বাড়ন্ত
বাকী জীবন হাত-পা ছুঁড়েই
সাঁতরাতে হবে।
যদিও তেমন সাঁতর জানে না, স্বপ্নও দেখে না কোনো পদক জিতে দেশের নাম ইতিহাসে লেখাবে।
তবুও ইচ্ছা ছিলো...
উত্তর জানা নেই ব্যাসদেব
এর পর পৃথিবী কোন দিকে এগিয়ে যাবে...
(৩)
এই বয়সেই মেয়ে তোর কপালে দাগ!
দধীচির বজ্রাস্ত্র যদি ফিরে আসে
আর-একটি পার্বতী উপাখ্যান...
তুই সতী হতিস।
দাহনামার টিপ পরে
অবলা স্বর্গের পালকিতে চোখ বুজে বসে পড়ত,
জয়ধ্বনি, কাঁসর, ধুপ-ধুনো
আহা - চোখে জল এসে যায়...
উড়ন্ত ধ্যানী বক
ভবিষ্যৎ কি এই কালো পৃষ্ঠারই আচমন করবে আবার...
(৪)
জল রঙে যদি অন্য কোনো উপাদান না থাকে
শুধুই জল...
শুকিয়ে গেলে হারিয়ে
যায় নীল নদের অববাহিকায়।
পিরামিডের খননকার্যে হঠাৎ হাতে লেগে যেতে পারে
কিন্তু সে স্বপ্নের প্রত্যাশা মূখার্মি।
তার থেকে অতীতের
আবাহন বন্ধ থাক
আজ মহালয়া,
মাতৃপক্ষের আগামী ডাকছে
উড়ে যাক যাবতীয় বৈধব্য বিভ্রম...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন