শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রিমি দে

সুকল্প 


একটা টেক্সট করতেই মেসেঞ্জারের সবুজ আলো দপ করে নিভে গেল। অথচ দু’দিন ধরে ঐ আলো একবারো নেভেনি। মীরা প্রায় সারারাতই ঐ সবুজ আলোর সাথে কথা বলেছে। সূচিপত্র তৈরি করেছে কালো ডায়রিতে। সূচিপত্র মীরার ছদ্মনাম। এই নামেই লেখকমহলে পরিচিত। সুকল্প চরিত্রটি সূচিপত্রের সৃষ্টি। এই কাজটির জন্যই তো সে বিখ্যাত! অনেকের মতে কবিতাই নাকি ওকে এমন পরিচিত করেছে। নানান জনে নানান রকম বলে। এই দেখাটাই বড্ড আপেক্ষিক। কখনো সুকল্প রক্তমাখা, কখনো অবয়বহীন কুয়াশা। আসলে মীরার জীবন যাপনটাও অমনই। ঢেউয়ের গহীনে তলিয়ে গিয়েও পাখির বাসায় বসবাস। গল্পের ফর্ম নিয়ে প্রতিনিয়ত বিচিত্র নিরীক্ষা অথচ জীবন নির্যাস জড়িয়ে তার প্রতি পরতে। আয়নার প্রতিবিম্বে
নিজেকে নানানরূপে দেখার অপরিসীম ক্ষমতা মীরারনিজেকে এবং নিজের সঙ্গে  যাপনে জড়িয়ে থাকা চরিত্রগুলোকে বরফ বানিয়ে ফেলে পরের মুহূর্তে সমুদ্রজলে লবণাক্ত করে দিতে পারে।


তেমনই একটা নতুন সুকল্প কিংবা তার ছায়ার মতো অন্ধকার সবুজ আলো জন্ম নেবে হয়তো! মীরা বেশ কিছুদিন অন্ধকারে। অন্ধকার পড়ছে গিলছে পড়ছে  এমনকি ঘুমোচ্ছেও। ঘরময় ঝমঝম শব্দ, ছমছম আওয়াজ। সুকল্প ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছে মাটি ফুঁড়ে পাতাল পেরিয়ে আরো অতলে সবুজ আলোর কঙ্কালসার দেহ!  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন