বাতাসে কার্বনের সংখ্যা
(দ্বিতীয় পর্ব)
(১)
আকাশ ও মাটির আলে
দু’ একটা চেয়ে থাকা
ছিল আজ।
ছবি রঙের শৈশব উড়ে
যেতে দেখেছি
দেখেছি তার নিজস্ব বাতাসে
ছুঁয়ে যাওয়া-
এক চর্চিত অমোঘ মহাকাব্য।
সীমানা পারাবার হয়ে যায়,
এ ছবির চিত্র মানচিত্রহীন।
বাতাসে লেগে থাকে
কার্বন পরবর্তী পর্যায় ধুলো।
যুদ্ধ বিরতি স্মৃতি এসে
বলে, “এসো আবিল করি
এই গর্ভস্থান”।
অতঃপর ভাসিয়ে দিই
কার্বনজাত সে সকল ইচ্ছা
পেটকাটির স্রোতে, ছাই মেঘে
আকাশ ও মাটির আলপথ
ধরে।
(২)
এই সেই ধুলো-ছাই
রঙ
মানুষের অপরিসীম ভালোবাসায়
- নাক্ষত্রিক
হয়ে উঠেছে আজ।
মানুষের আগে
তার নিতান্ত জাগতিক পথে
তোমায় ছুঁয়ে গেছে স্মৃতিকল্পে।
ঘরের পাশে সারিবদ্ধ ‘আলপনা’নাম কার্বন।
(৩)
এইটুকু গ্রহে, এইটুকু আনন্দে
কয়েক প্রান্তর বিষ দৃশ্যের
ব্যাপ্তি।
নভশ্চর ছাড়িয়ে রিক্ত
একটি সাধারণ প্রাজাতির ইতিহাস
কথা।
লুপ্ত সময়, প্রজন্ম, তীব্র
মহাজাগতিক পরিপূর্ণতা।
বোবা গ্রহে এক ফোঁটা
ভাতের স্বপ্নে নিঃশেষ এক
একটি জীবাশ্ম।
তোমার আমার দূরবীনে কম্পন
বাড়িয়ে চলে যাওয়া কিছু
মহাজাগতিক ধুলো।
(৪)
জানালায় এক একটি দেখা-
যে তারা প্রথম আজ
ক্ষেতের লাগোয়া আকাশে
মিথকল্পে জানিয়ে দিচ্ছে দৃষ্টির অলিন্দে।
একশ বছর পরবর্তী বিনির্মাণ
সাক্ষ্যে
সৃষ্টিহীন খামারবাড়ির চালচিত্রে
অস্থায়ী চাঁদ অন্তরায় ধুনছে
আন্দোলিত ফসলের স্বপ্নে।
(৫)
এখন গোলাপের মতো মনস্থির
পূর্বজন্ম।
একটি বহুল প্রচলিত ফুল
ফিরে আসে নিজেরেই উজ্জ্বল
ছায়ায়।
ফিরে আস সেই তুমি। তবু
কোথায় বসন্ত সরে যাচ্ছে
চেনা ফুলের স্বপ্নে।
শুধু এই ইতিহাস লেখা,
লেখ তুমি অনির্বাণ,আজ
বৃহৎ সূর্যের দিনে সেই
নির্বাক শব্দ প্রণালী।
(ইতিপূর্বে ‘কৌরব’
পত্রিকায় ‘বাতাসে কার্বনের সংখ্যা’
কবিতাগুচ্ছের প্রথম পর্বের লেখা প্রকাশিত
হয়েছিল)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন