শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

অরুণিমা চৌধুরী

আত্মহনন

শিকড়ের অবিরাম চলন
আমি সেই গাছটাকে খুঁজি 

খাদ্যশস্য ফুরিয়ে এলো
নাবিক বন্দরে ফেরেনি 

 দানাদানা জল  আঁচলে বেঁধে
 সাপ্তাহিক মেঘ উড়ে আসে

খিদে এত প্রকট, কুড়িগ্রাম বিষ
সতেরো ঘন্টা পরে হজম হয়ে যায়

ঘুমের ভিতর একটানা বৃষ্টি এলে
এক একটা দিন এমনিই মরে যায়।



জারিত


সমস্ত তীব্র দিনে তেল মেখে
মশলায় জারিয়ে রোদে দাও আম

রোদের সুঘ্রাণ বাড়ে
আমের পরতে পরতে মশলা ছাড়াও
হাতের সুগন্ধ

আকাশ মেঘলা হলে শরীরের জ্বর বাড়ে

ঘাড় মাথা ধুয়ে শুদ্ধ হও
বলো ‘অপবিত্র পবিত্রবা সর্ববস্ত্রান গতোহপিবা’

শুদ্ধ কাপড়ে হাতে  তুলে আনো আচার
যুবতী আচারের গা ভর্তি আদুরে রোদ্দুর
‘যস্মরে পুণ্ডরীকাক্ষং’ তার শরীর বানভাসি


অবসর


অবশেষে ভুল হয়ে যায়
অস্বচ্ছ প্রেমের শরীরে

 অবশেষে ভুল ভাঙে
 চুলের গভীরে পাক ধরে...

লেখাপত্রে ফিরে এসে দেখি 
গোপন অসুখে পাতাও পান্ডুর

মনে হয় এতকাল কিছুই লিখিনি 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন