দহন ডায়েরী
(১)
গ্রীষ্মকালের সমাপ্তি বোধহয় ঘোষণা
হয়ে গেছে...
আরবিক ঘোড়ার পা-এর শব্দে বুক থেকে ক্ষরণ ঘটে ঊর্ধ্বতালে
তালু থেকে মুক্তি পাওয়া ধোঁয়ার কুয়াশা
চোখে নদী ডাকে
পিঠে তাদের সবুজ ঝোপঝাড় আর মৌসম গন্ধ...
(২)
দহনের চৌকাঠে জ্বলতে জ্বলতে খসে গেছে চামড়ার অপরিণত ভাষা
ব্যাকরণ...
মেদ বর্জিত এই অধ্যায় বড় প্রিয় সকলের চোখে,
তীক্ষ্ন আপডেট সংস্করণের পাঠকসংখ্যাও বেড়ে চলে জলের মতো
এক দাগ থেকে অন্য দাগে,
তারপর সিন্ধুর অসীমতায়
শূন্যতা প্রাপ্তি...
(৩)
গরমের ওই নোনতা স্বেদ্ আমাকে সমুদ্র করে তোলে
ডাক দিই-
ঋতুপৃষ্ঠা থেকে উঠে আসে অরণ্যকন্যা,
গোঠের পথে পথে আমাদের নিঃসঙ্গ
অভিসার
এক অসম্পূর্ণ প্রেমকাব্য শোনায়...
(৪)
বৈশাখের নতুন অক্ষরের গন্ধ বড় মায়াবী
বুদ্ধ পূর্ণিমার চন্দ্রমুখীর মতো,
লুম্বিনীর পথে পথে জ্যোৎস্নামাখা ধুলা যখন চোখ মোছে কাপড়ের
খুঁটে
ত্রিপিটকের যজ্ঞকুন্ড জ্বলে ওঠে ওঙ্কারে...
(৫)
এই দহনে বড় তাপ,
জেগে ওঠে সতীকুন্ড
শঙ্করের তান্ডবকাল...
ধুয়ে যাক হলুদ পৃষ্ঠা তার যাবতীয় ব্যথা নিয়ে।
আমি গোড়ালি ডুবিয়ে ঊষাকাল দেখি
নক্ষত্রকথা শুনি,
মা এগিয়ে আসে, হাতে তুলসীর তিনটি পাতা
জ্বরের কালরাত্রি কেটে গেছে...
মা-এর লাল টিপে ব্রহ্মের জন্ম
শুধু শান্তি শান্তি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন