হিজিবিজি
যদি
জানতাম, তুমিও একদিন রেঁস্তোরা যাবে, তাহলে খুনের
দায়ে শপিংমল যেদিন জেলে গেল, সেদিন কাচের
দেওয়ালে ভাব দিয়ে লিখে আসতাম। নাহ্,
কবিতা-টবিতা
কিছু নয়। বোধহয় লিখে আসতাম ফোনবুকে সেভ করা তোমার ডাকনাম। যে নামের রিংটোনে ভোকাল কড হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক হয়ে যায়। আর আমার কাছে আরত্ত আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, স্ট্রাইপ শার্টের ছক গোনার অধিকার তোমার সামনে রাখা চিকেন বাকেট-এর থাকলেত্ত আমার নেই। থাকার মধ্যে শুধু ভারচুয়ালি দেখা। চোখের আরাম। ইদানিং আমার চোখ বেশি করে ভালোবাসে তোমায়। আমি এখন কমই ভালোবাসি।
কি আসলে এই ভালো-টালো বাসা?
যখন বুঝেছিলাম তখন বাসি নি। আর এখন যখন বুঝি না তখন...
শুধু টেলিভিশন দেখি। প্রিয় চরিত্রগুলো
কী ভীষণ রকমের ভালোবাসা-বাসি করছে। কী সুন্দর করে কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরছে।
আমার
তখন গ্লিসারিন লাগে।
কষ্ট
কি পাওয়া উচিৎ?
দুঃখগুলোও
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সফিসটিকেড হতে শিখে গেছে।
স্যোলপ্যাচের
দিব্যি... তুমিই বেলা বোস,
যাকে
ফোন না করেও চাকরির খবর দেওয়া যায়। শুধু
ভেবে নিয়ে।
মিলেছে। শেষমেষে মিলেওছে নম্বরের কান্ট্রি কোড দুটো।
আর
বাকি অঙ্ক কষা মানা।
বুকপকেটের
ক্ষেত্রফল মাপতে ইচ্ছে হয় খুব।
বিজ্ঞানে
পড়েছিলুম, বাঁ-দিকে নাকি আওয়াজ হয়। লাব-ডুব লাব-ডুব।
নিজেরটা
শুনেছিলুম স্টেথো দিয়ে। ভালো লাগেনি।
সকলেরই
হয় বুঝি? শব্দ?
লাব-ডুব
লাব-ডুব...
ইসস...
যদি একবার সুযোগ হত, টুপ করে কান ঘষে আসতুম। বুকের
শব্দ চুরি করে আসতুম।
আমের
আচার-টা শেষ হয়েছে সবে। বয়ামে চুপচাপ রেখে দিতাম সে শব্দ। ঢাকনা খুলে রাখতুম, যাতে
শাসও শ্বাস নিতে পারে।
প্রচন্ড
রকমের অগোছালো হয়ে যাচ্ছি দিন-দিন। একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণের ভীষণ দরকার হয়ে পড়ছে। প্লে—স্টোর হাতড়ে
যাচ্ছি। এনি এডিটিং অ্যাপস?
যাতে
করে কিছু পারটিকুলার সকাল বা হঠাৎ কোনো বিকেল বা নিছক কোনো সন্ধ্যে ব্লার করা যেত।
নেই। থাকার মধ্যে আছে শুধু দেখা। সময়ের সঙ্গে সমানুপাতিক হারে মরচে ধরা সম্পর্ক।
কে
কিনবে রেড অক্সাইড?
কে
মাখাবে আলকাতরা?
এর
থেকে তো ভাঙচুর ভালো। গাফিলতির অভিযোগ তো শুধু আই.সি.ইউ
তে হয়।
আর
এই যে ভেতরের ‘স্পেশাল কেয়ার ইউনিট’ তার গাফিলতির অভিযোগ কে লেখাবে?
ভালো
আর বাসা বাঁধল কই?
বাসা শুধু বেঁধেছে কাচের শিশির শেষ এলট্রক্সিন
দুটো।
আর
তার বাইরে?
সেন্টিমেন্ট
বিকিয়ে যাচ্ছে প্রতি বিজ্ঞাপনে। কলমের
স্লিপ অফ টাঙে বানান ভুল হচ্ছে প্রতি প্যারাগ্রাফে। কম্পিটিটিভ টেস্টে হারিয়ে যাচ্ছে কবিতার অ্যাডমিট। সপ্তাহে নিয়ম করে রি-হ্যাবে
যাচ্ছে কম্পারেটিভ লিট্রেচার। সবুজ
আর ধূসর রঙের মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে লুক বদলাচ্ছে সেক্টর ফাইভ।
আমি
দায়িত্ব নিয়ে হারিয়ে ফেলছি দূরবীন।
একদিন
ঠিক পালাবো। আমি আমার সঙ্গে সহবাস করবো। সন্তানের মা হব। নাম রাখব ‘ভালোবাসা’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন