মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

শৌনক দত্ত

অমীমাংসিত


(১)

বৈশম্পাত যতবার মৃত্যু লিখছে ততবার হত্যা জেগে উঠছে। কৃষ্ণ এবং অর্জুনের পাশ কাটিয়ে গীতা যখন সারাংশ হয়ে গেল, তখনই দেখি একটি সত্য যাপিত জীবন তার নিচু গলার ইতি গজ উচ্চারণ পথ হারিয়ে চোখের ভেতর চোখ খোঁজে আর যতদূর চোখ যায় দেখি একটি কুকুর পথ দেখাবে বলে বসে আছে!


(২)
 
কোথাও কেউ নেই। সন্ধ্যা নামছে। 'জলখাবার' দোকান থেকে ভেসে আসচ্ছে ধুপের গন্ধ। রংচটা ট্রামের চলনে মৃত্যুর গান অসুখ, অসুখ। বৈশম্পাত পেরিয়ে সময় এসে থমকে দাঁড়িয়েছে যেখানে সেখানে কোনো যুধিষ্ঠির নেই, যতবার খুঁজি কোথাও কোনো কুকুর খুঁজে পাই না, কেবল দেখি একটি মানুষ জীবনের আনন্দ ভুলে মরে যায়, লাবণ্য দাশ নাকি সমাজ তার তদন্ত শেষ হয় না, কেবল মৃত্যু হত্যার পাশে লিখে দেয় আত্ম যাপনের লজ্জা।


()

তদন্ত চলছে। ছবির পাশে ছবি তবু বেড়ে যায়। চাপাতির রক্ত ছুঁয়ে তবুও দিন আসে, তদন্ত চলছে আর দিন সপ্তাহ মাস পেরিয়ে সময় মরে যায়। কুকুর দেখি না কোথাও কোথাও একটা কুকুর খুঁজে পাই না।

আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। দেখি, আমাকে কয়েক জোড়া হাত খুন করে ফেলে যায়। আমি চিত্‍কার করছি, কেউ শুনছে না। খুনিরা ফিরে যায় চেয়ে দেখি তাদের  সামনে হাঁটছে কুকুর...    

দুঃস্বপ্নের ঘাম মুছতে মুছতে জল খাই। রাস্তা থেকে কানে ভেসে আসে কুকুরের ডাক। চেয়ে দেখি টেবিল ল্যাম্পের আলোয় আমার দশ বাই বারোর ঘর জ্বল জ্বল করছে। আর টেবিলে জেগে আছে মহাভারতের পাশে রূপসী বাংলা, আর হাওয়ায় উড়ছে বাসি পত্রিকার পাতা, তার লাল হেডলাইন ব্লগার হত্যার তদন্ত চলছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন