কবিতার অতলান্ত বা অতল কবিতা
(১)
সাদা ঘায়ে
নুনের ছিটে হয়ে উঠছে শব্দগুলো
শুধু টান আর মোহের কাঠ নৌকো সাজায়,
গোটা বা ভাঙা
দিয়ে পার হতে চাওয়া কবিতা দরিয়া
শুরু, গঠন
বিগঠন — শেষ
না হয় মাথাতেই থাকুক তার স্পন্দন আ-লুকোচুরি
লুডোয় আমার দানটা আর দেব না...
(২)
অক্ষরগুলো যেখানে পারে সেখানেই ঘুমিয়ে থাকে
তুমিও যাদুকাঠি
ছোঁয়াতে ছোঁয়াতে ছেড়ে-দে-মা
জাগাতে চাও,
জাগে, হয়তো চলে না
অনেক সময়
জাগেও না
যেভাবে জাগাতে
চাইছিলে
অতএব সুতরাং কিছুই কাজ করছে না যখন
যাদুকাঠি সমান্তরালে
একটা ম্যাথ-ইকোয়েশন হতে থাকে
(৩)
যেটুকু জলের গতি
ঝরনাস্নানে তার পা দেখেছিলে
টানা শব্দের নেশা
কোথায় যে ধরে রাখবে!
পানপাত্রে,
ভঙ্গুর বোঝাতে পেটির ওপরের
প্রতীকটি
ভাঙার শব্দ
শোনাতে থাকবে…
(৪)
পাখির স্বরে লিপি জেগে থাকে
কা-কা থেকে কুহু-কুহু কিংবা রুক রুক রুক রুক বহুবিধ
তুমি চিহ্নে সাজাও
ঘুমিয়ে থাকাগুলোকে গলায়
নাচিয়ে জাগাও
চিহ্ন বুঝতেও
পারে না
চিহ্নই লিপি হতে
থাকে…
(৫)
ভাব কোথায় থাকে
শুকনো চটিতে জড়ানো
ধুলো
ছুঁয়ে থাকে ভূমন্ডল
নেপচুনের মাটি
কল্পনায়
তার ছেঁড়া নলচে নাগরাই
হয়ে ওঠে
সোল বদলে বদলে
সৌরজগৎ কেবলই
পিপাসার পাত্রে
পড়তে থাকে
ভাবের পিপাসা
কোথায় যে থাকে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন