পুনরায়
ছোট খোপে কাঁপা কাঁপা সুনয়নী, যো-হুকুম নুর।
রুপোলি রিবন।
সেই বাড়ি এড়িয়ে চলে
তিন লাইনের বেনারসি। জেব্রাপারাপার
ঠিক করে বুকের আঁচল।
টিপের বদলে কপালে লাগাও কম্পাস।
পাঁচতলা শুভরাত্রি।
ঘুঙুর পরা কলমিশাক।
তোমায় দেখে গেয়ে ওঠে ফর্সা চিন্তাগুলি।
বিষাদ রাতপোষাক।
সার্কাস মাঠে কে যেন
ধীমান ধীমান বলে কোমল গলায় ডাকছে।
কোমল গলায় ডাকছে নিভু নিভু
জন্মদিন। আরামকেদারা।
বিকাশ
গলার শব্দ বুজে এলে,
মৌসুমিবায়ু বাঁশির কাছে যায়।
মেঘলা ফারকোট।
এ ওর গায়ে হেসে গড়িয়ে পড়ে,
বৃষ্টি না হওয়া একটা সপ্তাহ।
ভিটামিনলাগা সালোয়ার।
ছাতে গড়িয়ে আসা ছোট্ট শিশি,
মুখোশ খুলে রাখে রোব্বারে।
ঠিকঠাক এসো--
বলে নিজের মুখ খুঁজে বেড়ায়,
খুল যা সিম সিম দুনিয়া।
দরজার লিখতে চাওয়া প্রতিভা,
ছুটির দরখাস্ত।--
রোদের সোহাগ জানতে পেরে,
ঘুমপাড়ানি মাসি পিসির আংটি গাওয়া
আঙুল হয়।
ওঠাপড়া
ঘর জুড়ে এলাচ দানার ভেজা হাত।
কয়েক ফালি ইথার ও ইশারা।
কে যেন সূচ-সুতোয় সেলাই করে
বহুমাত্রিক ছায়া।
সমস্ত বিচ্ছেদ নিরীহ মুখে সোফায় বসে।
তোমার হাত গরম হয়,
আলপিন ধরে রাখা বিদিশায়।
নিরুদ্দেশের শর্তগুলি।
চুপচাপ পালানোর ছক কষছে বেডরুম।
হাতে রাখি এলোমেলো।
চোখ দিয়ে নামলে তুমি সোনা পাখি।
নীচু হয়ে কুড়িয়ে নিই হুইলচেয়ার।
না ওড়া রোদের মুঠোফোন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন