বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

স্বপন রায়

বৃষ্টি

একা বর্ষা   ছাউনি   অপেক্ষা   জানতাম না যে দূরে
                                   আবছা আলো জ্বলে
                                           বর্ষা ছিন্ন হয়
আসে   অপেক্ষা কি ভাবে যেন জড়িয়ে যায় যেন এক এম্নিবিষাদ পোষাকে
না আমিও জানতাম না
যে বৃষ্টি আর বর্ষাকে নিয়ে চলে যাওয়ার সময়
ভেজা ভাব থাকে
একলা

অপেক্ষা তো একলাই, না?


বৃষ্টিটি

নত শ্যালো
আরো অবনত দুটি নানাচাপা চোখ
কিক ও প্রয়োগে এক চাঁদের নিচে যারা যারা হেঁটে যেত
ঘাস আলাদা
ফড়িং আলাদা ক’রে
বি ছাড়াই পণন পণন হাওয়ায় একটা আনস্মার্ট আকাশ
                                   একটি স্মার্ট নদি
তাদের কি ভাবে যেন ছিল অঙ্ক আর বাংলা
ভাই নীলরঙের শার্ট
বোন সম্পূর্ণা-শাড়ি
কাশফুলের নথে রাখা হা-হুতাশ  বিল্বও ছিল এই প্রসঙ্গে যে
                    এই নদি ওই স্রিফ স্রিফ চলে যাওয়াই
খুব রোগা যে ছেলেটি ছিল
তার

কি বৃষ্টি
বৃষ্টিই শেষপর্যন্ত দুটো চোখে   দুটো শব্দের দিকে

টাপুর টুপুর হতে পারে
বা ভাই বোন বোন ভাই...


বৃষ্টিরা

ওই যাকে বরফি বলি
আলফা-অলিফ ফোঁটায় পৌঁছল তার অন্ন
সে দেয় তো মিষ্টি
না দিলে “আবার হবে তো দেখা” জড়িয়ে যায় ডেরানির্জন ডেরানির্জন টপে
এলো কিন্তু গেল না

এই আল্গা চুলের বনবাস, উলানবাটোর নাকি?
বরফিতে রফি লুকিয়ে
অনাঘ্রাতা সেয়ানা আঁধার লুকিয়ে লুকিয়ে যেন কিছুই জানে না এমন বাঁকে ধীর

ধীরে লজ্জা নামে, পরে অনুমান
খুব নামলো ব’লেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হয়েছিল খুব...







                                     




1 টি মন্তব্য: