বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

বারীন ঘোষাল

ফেরারি ইয়ার

ঘাসের গান
      জলের গান
            কলগানরা সবাই কোথায় গেল
কান নিয়ে কোন পাখি
জলসারোল-এর রায়বেঁশে পদ্যখানি শো দিয়েছে খেলায়
কবিতাটির কোন নকল জিনোম ছিল না তো
কোন মেঘ অন্য মেঘে
           অন্য বিবিদের বাদশায়
পদ্যখানি চাল-বিরহীর আর বাড়ে না
মেঘের কাটিং কেটে ঘুড়ি
              ঘুড়ি পেরিয়ে তারা
তারা তিমিরের আপসিন ওই সুতো
                        খিঁচ পাগ্‌লে

অনেক ফুটো
            ছাদটা ছপ্পর হয়েছে অ্যাদ্দিনে
জল পড়ে          তারা ওঠে
দিন রাত্তির দূরত্ব কেটে যায় ফেরারিয়ারে
তার ক্যামেরা প্যান করেছে চোখে
চোখ কী সব দেখছে        আলোফুল
এত ভাল তারকার চুলো নাকারো
ডাকবন্দী হয়ে বসা মন রে মুন
                        কার্নিশে কার নিশ

সহকথা না থেকে যায় না এই প্রেমে যে
বন্যার দিনে বন্যা
                  অন্যায়ে অন্যায় আসবেই
ছায়া ছলছল করবে
আড়িও পাতবে সঙ্গমে
আজ ঘাস গাইছে    গাই ঘাসছে    আমাদের স্ত্রীমায়ানো বাড়িতে
ঝরণা ঝরে রে-তে মরনা মরে রে হোক তাহলে

                                
নাকবিতা
                                                             
ফটোগুলো পথে ঘাটে ফেলে দেয়াল সরে পড়েছে
সেখানে আর দেয়াল আঁকা নেই
সবাই কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা লোকাল পাখির ছবি
        স্বপ্নচোর      হুরপরী
        কংকালের মেয়েও চলে গেল
সূর্যপাত রূপক হয়ে ঝরেছিল সেদিনের লিঙ্গল্পে

না  রে  না  না  দুটি কলি        দুই কলি
সেটি গাও দুই মাত্রা
                     সাজানো
সেই গানানের ইকুয়াল মিউজিকে গাইতে রহো দিন দাহারের টপ্পা

রুকস্যাকে রাত্রি ভরে হাঁটতে গেল তাই আমাদের নৈশ ট্রেন
ট্রেন ভরা বাড়ির কথা কারা কয়
          নিশাচর কথামালার সার্কাস পেরিয়ে
 হিম ঝিম পার হয়ে দুটি রমিত লাইন       চুপ করে শুনি

পাহাড়ে একায়েক পায়ের শব্দ ফিরে আসছে কী করে
      অনেকের একা
            একায় অনেকে
পিঠের পিছনে তা’লে নাকবিতা কি নাই
                     




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন