শূন্য শিখর
স্বপ্নের করিডোরে তার সাথে দেখা। সে বলল-
সব মৃত্যুই বেঁচে থাকে বুকের পাঁজরে।
জিজ্ঞেস করলাম-
আর জীবন?
সে বলল-
মৃত্যুহীন সে।
আরও জানলাম-
বিশ্বাস ভেঙে যারা সদর্পে হেঁটে যায়
তাদের প্রতিশ্রুতি, দেবার ছিল না।
স্তরীভূত আপেক্ষিকতায় নির্দয় সত্য পুরাতন বারবার
ভুল করে।
বেঁচে থাকা নিয়তি। নাম গোত্রহীন। গভীরে শেকড়
অন্ধকারে।
ঘুম ভাঙা চোখে
এই যে রাত ভোর হলো
আঙ্গিনায় ধূসর আকাশ
টেবিলে মোমবাতি। ধোঁয়ার মোচড়। ফুৎকার।
ঊর্ধ্বমুখ পিপাসা। প্রার্থনার হাত।
গভীরে কে এসে তুমুল নামে।
আলোক-সম্পাত।
বিচ্ছুরণে অন্ধ হবার আগে
কাছে কেউ ডাকে একজন। সহজ সম্ভাস।
বুকের পাঁজরে রাখা ভাঁজ খুলে যায়
শাড়ির আড়াল বলে আয়
মেখে নে ঈশ্বর-গন্ধম ঘ্রাণ।স্বর্গের কাছাকাছি
হাঁটি।
নিকট হতে হতে
ঘন হয়ে আসে নিঃশ্বাস।
পেছনে তাকাই। ফেলে আসা সবটুকু পথ।
সেও তাকায়। দিয়েছি কি সব? যা
ছিল দেবার?
বলেনি কিছু কেউ।
প্রণয়ের চৌকাঠ। মুগ্ধ চাহনি।
আলিঙ্গন।
অলীক মুহূর্ত সন্মোহন-
ডেকে নিচ্ছে এক আশ্চর্য প্রভাত।
সন্ধি
বিকেলের রোদ। মেঠো পথ। ছায়ার ঝিলিক।
পাতার চিকচিক। যুবক তুমি, কাউবয় বুটস ধাতবে
ঢালছ তরল মিসিসিপি। ভাসিয়েছ গা।
জিনসে্র শীষে দুই ছড়া বিছিয়ে মাটির কোমলতা
-মুগ্ধতা।
ওহ সেই স্ট্রিং, চিরনতুন-
ঝাঁকড়া চুলে হামিংটা দাঁতে ঠোঁট চেপে-গীটারে টুংটাং।
শুরুটা আহ জন ডেনভার-ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া-
পাখির পালক মায়া। গভীরে খরস্রোতা শব্দ, কথা-কবিতা।
পাহাড়ে সূর্যস্নান। ধূসর নীলের খেলায়
তুমি তো শিখিয়েছ এ গান।
মাটির প্রদীপ রেখে
লিখেছি আলোর নাম সন্ধ্যে তারায়।
আপন কোণ থেকে বহুদূরে এসে দেখি এ আমারই মনসিজ
গাঁ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন