বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

রত্নদীপা দে ঘোষ

উপশম ১


আমারও যে কেবলি যন্ত্রণা বাড়ছে
উপশম হে
কোথায় তুমি
মরুদানা ছড়াও, ছড়া বাঁধো
আমি তোমার রাইকমলের বালিকাগুলি কুড়াই শুধু
শুধুটিকে কুড়াই
অই উদাসীন অজগর সাপের আলো
এত পাপ পড়ে আছে আমার
কোণে কোণে চতুষ্কোণে
আমিও একদিন
আমিও তোমার মতো ছবি কইতে শিখব  
দেখে নিও তুমি
জেনে নিও তুমি

ভালোবাসার মানে  
মানে আছে কিছু
শুধু অশোক ভিখারি নয়
সাম্রাজ্য পলাশ শুধু নয়  
শুধু শরীর
ভালোবাসা কেবল শরীরে জিইয়ে রাখা আবহমান ভঙ্গুর কিছু  



মা  


মায়েরা আলোর সরলরেখায় আসে

তার চেয়েও বেশি সরল হয়ে আসে তাঁদের ছায়াআমি সেই ছায়ার পথে আসি। সেই ছায়াপথেই বাড়ি আঁকিজমিজিরেত করিমুখোমুখি হইনিজের সঙ্গে আমার দেখা হয়সাফল্য এবং অঙ্গীকারের পাখিরা সসীম হয়ে থাকে সীমানায়

মায়েরা উলু দেয়, শাঁখ বাজায়দুধের বোঁটা আশ্চর্য মায়াবী রাত নিয়ে আসে মায়েদের শস্য খেয়ে খেয়ে আমি জ্যোৎস্নার মতো বৃক্ষ হইমায়েদের স্নেহ পান করে আমি পুকুরধারের রহস্যপ্রাপ্ত হইমায়েদের সমারোহে আমি অভিযান লাভ করি
মায়েরা মেঘ আর জলের ইশারা হয়ে ফোটেআমি মায়েদের ব্যক্তিগত বুকে মুখ হয়ে আসিআমি মায়েদের অতিরিক্ত রোদে ব্যাকুল ঠোঁট হয়ে আসিআমি মায়েদের বৃষ্টিসঙ্গীতে গানসঙ্ঘ হয়ে আসি

মায়েরা লাবণ্যস্ফূটপূর্ণতায় জেগে থাকা দশটি অভিকর্ষই মায়েদের
মায়েরা ফুরোলেও, মায়েদের লালপাড় শাড়িটি ফুরোয় না কখনও 

সেই চিরআভার আগুনে আমি খিদের অন্ন মেপে আসি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন