কুহক
এক অসম্ভব আশা
বাসা বেঁধেছে বুকে,
এক অসম্ভব কল্পনা
ছুঁয়ে যায় রুখো
চুলের ঢেউ;
দু’চোখে না-বুঝ ঠুলি
বেঁধে
হেঁটে যাই মাইল মাইল-
ঘোর লাগে,
মণিবন্ধ থেকে সময়
কখন যেন
আলগোছে খসে পড়ে;
আর তখনই
এক ঝলক হিমেল হাওয়া
মুখের ওপর বুলিয়ে যায় তার শানিত
ছুরি
কানে বাজে তার হো হো হাসির বিদ্রূপ,
হঠাৎ চমক ভেঙে চেয়ে
দেখি
সর্বনাশী তেপান্তরের
মাঠ
ধূ ধূ জ্যোৎস্নায়
খলখল করে হাসছে!
সেই নিশ্চুপ হাসি
গড়িয়ে যায় রক্তের ভিতর।
পা চলে না,
জ্যোৎস্নাভেজা ঘাস
জড়িয়ে ধরে আমার পায়ের আঙুল;
ধ্রুবতারা খুঁজতে
গিয়ে
খেই হারাই-
আর হিমের মতো সাদা
জলজ জ্যোৎস্না
সমুদ্র হয়ে আমাকে
ঘিরে ধরে।
আমি ডুবতে থাকি,
নিচে,
আরও নিচে-
অসম্ভাব্যতার
জোনাকিগুলো
আমার চারপাশে উড়ে বেড়ায়,
আর আমার আঙুলের ফাঁক দিয়ে
খসে খসে পড়ে
তাদের আলো
অন্ধকার
অলৌকিক ডানার ঝাপট।
মৎস্যকন্যার মতো
সমুদ্র বেয়ে আমি উঠে আসি,
শ্বাস নিই-
চেয়ে দেখি
চাঁদ নেই!
দুর্নিরীক্ষ্য কুয়াশার
মধ্যে-
আমি একা
একদম
একা
স্বপ্ন আর সত্যির
সরু দড়িটার ওপর
ট্রাপিজের খেলা দেখাচ্ছি।
ভালোবাসা ছিল, তবু
ভুলেছ
নিশ্চিত,
আঁজলায় নুন-জল নিয়ে
আচমন
করেছ হে দ্বিজ!
জন্মে জন্মে জমে ওঠে
জাতিধর্ম
পাঁক,
গরলেই খুঁজেছ অমিয়-
ওহে
দ্বিজোত্তম,
অনায়াসে একদিন শাস্ত্রব্যাখ্যা করেছিলে কত;
তবুও হিসাবে গরমিল-
কদম্বে জেগেছে প্রেম,
কেয়াফুলে কাঁটার মিছিল!
মধুর প্রথম প্রেম,
টাকনায় ঝাল-নুন
আলগোছে ছিল ভালোবাসা
নারী এত মহার্ঘ তো নয়
যাকে ‘না’ বলাই যাবে না!
অতএব মনুস্মৃতি - অধুনা অস্থেয় জানো সবই,
সব কূল - নির্ভুল,
অবিকল জীবনের নদী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন