বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

স্রোতস্বিনী চট্টোপাধ্যায়

মিথ্যেকথা যতটা লেখা যায়

মনে পড়লেও আজকাল তোমায় ফোন করি না
আমার বন্ধু আমায় সংযম শেখায়
তোমার সাজানো দিল্লি শহরের ফ্ল্যাট দেখিয়ে, সে বলে
তুমি ভালো আছো!

তাই এখন শূন্যতার ভিতরের শূন্যতাকে আমি বিরক্ত চোখে দেখি
কলেজ স্ট্রিটের জনবহুল মোড়ে
আমার একা রাস্তা পেরোতে আজকাল ভয় লাগে না
আমি ভ্রূক্ষেপ করি না কে আমার দিকে তাকাচ্ছে
কোন দৃষ্টিতে বিদ্ধ হচ্ছি
ঝলসানো কোনও অসম্ভব আলো আমায় চারিদিক থেকে ঘিরে ধরছে কিনা...

আমার আসলে সত্যিই কিছু যায় আসে না
কেননা আমি জানি,
গাঢ় থেকে গাঢ় এক গায়েহলুদ রঙের বাড়ির সামনে দাঁড়ানোর পর
একদিন মুমূর্ষু করোটি ছেড়ে উড়ে যাবে তীর...



আলেয়া

এই আকাঙ্ক্ষিত চাঁদের আলোয়
তুমি খুব গোপনে যাকে মনে করো
তার ঠিকানা নেই
দূরত্ব আছে শুধু
পথ নেই ছায়া নেই
আরো গভীর কোনও নিরুদ্দেশ তাকে ঘিরে রাখে
তুমি তাকে ডাকো
যে চেনানাম ধুলোর কাছে ঋণ রেখে গেছে
সেই নাম ধরে হেঁটে যাও
সাড়াবিহীন এক ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে
মনে করো এখানেই বুঝি পৃথিবী শেষ হচ্ছে

এখানেই বুঝি, হাওয়া দিলে শুরু হয় জন্মান্তরের প্রক্রিয়া!



পরিচিত

কথা বললে যদিও এখনো চমৎকার লাগে,
ইশারা করলে এখনও মুখ নেমে যায়,
যেন সব নিতান্তই কাছে আসার মতো সহজাত
এই বুঝি এক্ষুনি পুরনো হয়ে যাব আমরা
গায়ের জামা হবে আলুথালু
সন্ধ্যে নামলে ঘর লুটিয়ে পড়বে মেঝের ওপর
আমরা চাঁদ ভাগ করব তখন
জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়ব
কোথায় যাব? কে জানে...  

ঈশ্বরের মতো জানালা আমাদের দিকে হয়তো ফিরে তাকাবে
হয়তো বা নতুন সংকল্প গুঁড়ি মেরে ঢুকে যাবে জানালা দিয়ে

তারপর আমাদের আর প্রাক্তন হওয়া সম্ভব হবে না

শুধু অস্পষ্ট আলোয় ভীষণ স্পষ্ট হবে মুখ

কার মুখ?









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন