বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

সুপ্রিয় বাগচী

এইভাবে তিনি অর্থাৎ সমীর রায়চৌধুরী


শব্দের নৌকা নিয়ে
তিনি পাড়ি দিতেন চিত্রকল্পে
সঙ্গে থাকতো
আবশ্যিক তন্ময়তা
এবং সমানুপাতিক অনুষঙ্গ।

এইভাবে শব্দের নৌকা নিয়ে
ক্রমান্বয়ে
১ । ২ । ৩ । ৪
৫ নম্বর বন্দরে পৌঁছেই
বৈঠা ঘুরতো উল্টোদিকে

এইভাবে তিনি আসা যাওয়া করেন
অধুনা থেকে অধুনান্তিকতায়।



মলয় রায়চৌধুরী : যাকে ছোঁয়া যায় না


অনেক সামনা সামনি থেকেও
কোনোদিন তোমাকে ছুঁতে পারলাম না,
এইভাবে চিরটাকাল
তুমি অচ্ছুৎই রয়ে গেলে।

তোমার সৃজনশীলতার অতলান্ত গভীরে
প্রবেশাধিকার নেই জেনেও
ঝাঁপ দিয়েছিলাম,
কিছুটা গিয়েই কোনোরকমে ফিরে এসেছি,
বুঝেছি তোমাকে বুঝতে গেলে
অনন্তকাল তপস্যার প্রয়োজন।

বয়নে চয়নে মননে তুমি
প্রাজ্ঞতার সৌরমন্ডলে এক স্থির জ্যোতিষ্ক।

তোমাকে ছুঁতে গেলে
কয়েক সহস্র কোটি আলোকবর্ষ
অতিক্রম করতে হবে।



শুধু জানি


ভেবেছিলে দেবে নির্বাসন
আমার কৌমার্য থেকে কিছু প্রেম
দেহাতীতার জন্যে তুলে রেখে
সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে তোমার সামনে,
তুমি কি খুলে দেবে
অক্ষত যোনির দরজা?
নাকি ফিরে যাবে শুচিতায়
মালা জপে স্বেচ্ছা নির্বাসনে?
এখন আকাশে চাঁদ
এবং জ্যোৎস্না তো থাকবেই
মৃদু মন্দ হাওয়া – জানি না
এখন বসন্ত কিনা!

শুধু জানি নির্বাসনের প্রশ্নবোধক চিহ্নে
এখন তুমি চির নির্বাসিতা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন