উপলব্ধি
কেন্দ্রে দাঁড়াও।
চতুর্দিকে ব্যথাশৃঙ্খল
আত্মমগ্ন হয়ে তোমাকে ছেড়ে যেতে চাইলে
হ্যাঁ বলো, অথবা নিয়ন্ত্রণ করো তাদের।
নিজেকে অতিক্রম করে নিজের জন্যই বাঁচা মহৎ।
আমাদের দ্রাঘিমা আন্দোলিত হয়
যখন কেউ একজন ঘিরে থাকছে
যখন অনেকেই ঘিরে থাকছে
ছুঁতে না পারি, অস্বীকার করি না।
ভালোবাসা নত হয় দূর আকাশের স্বভাবে
তোমাকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে।
আকাশ কি আসলেই দূরের
যখন সে চেয়ে থাকে নিরুপায়ের মতো!
মৃত্যুচিন্তা আসুক শুদ্ধির নামে
আত্মহননের কথা ভেবো না
কেননা, নিজেকে অতিক্রম করে নিজের জন্যই বাঁচা মহৎ।
রেলগাড়ি
যেন এক মহাদেশ পাড়ি দেওয়া
জলের প্রশ্রয়ে পাড়ের দৃশ্য খানিক কাঁপে।
কাগজ পুড়িয়ে রান্না হচ্ছে ভাত
তার দিকে চেয়ে আছে সারি সারি বস্তি।
প্লাটফর্মে শুয়ে থাকা অন্ধকার মুখেরা
ঝিঁ ঝিঁ হয়ে ডেকে উঠে
প্রত্যুত্তরে হুইসেল বাজে।
আমি অজান্তে ভাঙা ল্যাম্পপোষ্ট
কার্যকারিতা হারিয়েছি অমীমাংসিত শব্দের ভেতর
যে শব্দ জমতে জমতে পাহাড় হলে
আরোহণের সাহস করে না কেউ।
সচেতনে আমি গতি, স্মৃতিখোর নেশা
আচমকা স্লিপারের ঘুম ভাঙিয়ে
হেলেদুলে ছুটছি অন্যের গন্তব্যে-
অন্ধকার ঠেলে ঠেলে রাত্রির রেলগাড়ি।
উৎসব
ছায়া ভাঙচুর, জাগতিক সুর
এত ছোঁয়, উপলব্ধির অতীত।
বাতিকগ্রস্ত দিন-রাত
আবার জন্মায় ফিকে স্মৃতি ঝেড়ে।
অনুবাদের ভার দিয়ে রেখেছো কাকে?
সে জানে? নাকি জানে ঐশ্বরিক আঙুল-
কেন তোমার ঠোঁট শুকিয়ে এলে
প্রতিমা বিসর্জনের ধুম পড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন