একটা না-বিপ্লব
বিপ্লব হলো সেই কাকাতুয়া
যে আয়নার ভেতরে গিয়ে
আর ফিরে আসতে পারেনি।
কারো কারো শরীর ফিরে আসে
কারোর কিছুই ফেরে না।
আলোয় আলোকময় হয়ে সে
আলোর লোভে পড়ে যায়।
তখন রাস্তাঘাটে এদিক ওদিক বসে
পাতার আড়াল খোঁজে,
সে আর চোখ খুলবে কেন?
তাকে মিছিমিছি রিহ্যাবে পাঠিয়ে
কোনো নতুন সকালের আশায়
এই ইট কাঠ পাথরের টুকরোতে
বারবার টেনে আনার ভুলভাল চেষ্টাটুকু
করতে গিয়ে আবার মন খারাপ হবে
বিপ্লব এসে চলে যাবে, বলে যাবে না।
ভালোবাসলে জ্বর হয়?
আমাকে সে একবার বলেছিল চোখ তুলে
মুদিয়ালি বাড়ির আকাশি নীল সোফাতে বসে বসে
- দেখবে জ্বর হলে কীরকম উথাল পাথাল লাগে
ভালোবাসতে ইচ্ছে করে খুব।
অবশ্য এসব
জানলেও যে জ্বর হবে আমার
এমন তো কথা
নেই কোনো।
জ্বর হলে
অবশ্য খালি মনে হয়
শুধুই নিজের
কথা
- একটু বোস
না পাশে।
তারপরও অবশ্য
কেউ কেউ টিভিতে
সিরিয়াল
দেখতে চলে যেতে পারে
যে ভাবে আমার
মা গেছিল একবার।
আর জল জল
করতে করতে আমি টের পেয়েছিলাম
মরুভূমির
বালি ভালোবাসার মতো কতটা শুকনো।
চিয়ার্স
আমি তোমার সঙ্গে সারাজীবন জুড়ে
থাকব না বিশ্বাস কর।
বোলো তোমার জ্যোতিষীকে।
দেখছো কেমন বৃষ্টি পড়ছে?
সারা চরাচর জুড়ে শুধু জলের ফোঁটারা
ক্রমাগত ভিজিয়ে দিচ্ছে
সমস্ত আঠাদের,
সমস্ত জুড়ে থাকাগুলো বেয়ে
খেলা করছে একটা অজানা ভয়ের দুরুদুরু।
টেরই পাবে না কখন খুলে পড়ে যাবে
রাস্তার ধারে আমাদের সেইসব দিন
আমাদের সেইসব জান-কবুল স্বপ্নরা।
কোথায় যে থাকব তারপর?
কোনো নতুন শহরে পিঠে হাত রেখে
এক পাত্তর মদ দেবে কেউ।
সেও তো জানে না কিছু
বা তাকে বলতেও যাব না।
কী হবে?
বরং খেলা শুরু করি এই জলের আগুনের সাথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন